স্টাফ রিপোর্টার।। জালিয়াতি ও প্রতারণা করে জমি আত্মসাৎ ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগে দলিল লেখক হাবিবের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছল করেছে স্থানীয়রা। রবিবার বিকেলে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের কাদির সরকার-কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মিছিলে স্থানীয় নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সহ বিভিন্ন শ্রেনীর লোকজন অংশ নেয়। অভিযুক্ত দলিল লিখক হাবিব ভেদরগঞ্জ সাবরেজিষ্টার অফিসে কর্মরত। এর আগেও তার বিরুদ্ধে প্রতারনা করে জমি আত্মসাতের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী শফি মাদবরের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, কিছুদিন পূর্বে শফি মাদবরের পরিবার তার বোনের জমি ক্রয়ের জন্য দলিল লেখক হাবিবকে মধ্যস্থতার দায়িত্ব দেয়। ৮ লক্ষ টাকা বায়নাও করেন তারা। কিন্তু জমির কাগজে বিভিন্ন ত্রুটি ও সমস্যার কথা বলে ভয় দেখিয়ে ঐ জমি নিজের নামে লিখে নেয় হাবিব। শফি মাদবরের মেয়ের অভিযোগ, তাদের বায়নাকৃত জমি ক্রয়ের বিষয়টি জানার জন্য হাবিব মিয়াকে তাদের বাড়িতে ডাকলে সে তাদের ভয়ভীতি ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় প্রতিবেশী ও পরিবারের লোকজন তাকে ধাওয়া দিলে, হাবিব জামা-কাঁপড় ফেলে পালিয়ে যায়।
শফি মাদবর আরও বলেন, বর্তমানে হাবিব ও তার অসাধু সিন্ডিকেট আমি এবং আমার পরিবারকে হত্যা, গুমসহ নানা হুমকী দিচ্ছে। এতে আমার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। বিষয়াদি বিবেচনা করে আপনাদের সুপরামর্শ ও ক্ষুরধার কলমের সহযোগিতা কামনা করছি। একই সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিদ্যামান সমস্যা সমাধানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে স্থানীয় জিতু মাদবর ও কাঞ্চন মিয়া বলেন,এর আগেও হাবিব অনেক মানুষের জমি প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছে। প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন সামান্য ভেন্ডার কি করে এত টাকার মালিক হয়। আমরা চাই প্রশাসন তার আয়ের উৎস খুঁজে বের করুক। আমরা এলাকাবাসী সবাই তার প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে চাই। তার কু-কর্মের বিচার চাই।
স্থানীয় এক নারী বলেন, শফি মাদবরের কোন ছেলে নেই। ৫ মেয়ে নিয়ে কোন রকম করে জীবন-যাপন করে। হাবিব এর প্রতারণা থেকে তারাও বাদ পড়ে নাই। তার বিচার হওয়া উচিত।
জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয় জানতে চাইলে দলিল লিখক হাবিব তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিয়ম মেনেই আমি জমি কিনেছি। আর কিছু বলতে চাই না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখেন। একটি চক্র আমার সম্মানহানির জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।
এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Array