S M Dulal
29th Aug 2022 7:55 pm | অনলাইন সংস্করণ
আজকালেরবার্তা নিজস্ব প্রতিবেদক : – সাভারে বিপিএটিসি কোয়ার্টারের ভেতর দেহ ব্যাবসা করিয়ে আসছিলেন প্লাম্বার কবির হোসেন।বিষয়টি নিয়ে প্রথম জনসম্মুখে আনে ভারতীয় প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ‘এনবিটিভি ” এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে একটি অনলাইন গনমাধ্যম । প্রকাশিত হয়েছে অপরাধ চক্রকে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু প্রতিবেদন। প্রতিটি তথ্য উপাত্ত সহ প্রতিবেদন পুরো দেশে আলোচিত হয় অল্প সময়ের মধ্যে। ভারতীয় প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম এনবিটিভি দুইটি ভিডিও রিপোর্ট সহ অনলাইন ভিত্তিক গনমাধ্যমে প্রকাশিত ধারাবাহিক রিপোর্টগুলো নিয়ে এবার সে বিপিএটিসি প্লাম্বার কবির হোসেন কে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে কোয়ার্টার ছাড়তে ও চাকুরী থেকে সেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলা হয়। ঢাকা কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ” রাসেল প্রধান ” যমুনা প্রতিদিন সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে রিপোর্ট পড়ে স্বেচ্ছায় লিগ্যাল নোটিশ টি পাঠিয়েছেন বলে জানাগেছে। কবির কে পাঠানো সে লিগ্যাল নোটিশ সুত্রে জানা যায়, উক্ত লিগ্যাল নোটিশ হাতে পাওয়ার ৭ দিনের ভিতর বিপিএটিসি কোয়ার্টার ছাড়তে হবে যদি গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা কবিরের পরিবারের বিরুদ্ধে বিশটি অভিযোগের বিপরীতে তিনি শক্ত প্রমাণ দেখাতে ব্যার্থ । স্ত্রী, দুই কন্যা কে দিয়ে দেহ ব্যাবসা করেনি ও নিজ বড় কন্যা কল্পনা আকতার কেয়ার ভ্রন হত্যায় কবির জড়িত নয় এই দুইটা প্রমাণে অবশ্য ই সরকারি হাসপাতাল থেকে মেডিকেল রিপোর্ট সংগ্রহ করে নোটিশদাতা ও বিপিএটিসি এডমিন ডিরেক্টর কাছে ৭ দিনের মধ্যে প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ও সম্পদের পরিমাণ, ব্যাংক হিসেবসহ পরিবারটির নতুন ও পুরনো জমির মালিকানা সম্পর্কে নোটিশ হাতে পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। সরকারি কোয়ার্টার ছাড়তে কেন লিগ্যাল নোটিশ? এমন প্রশ্নের জবাবে আইনজীবি রাসেল প্রধান বলেন,তিনি দেহ ব্যাবসার মতো অসামাজিক কাজ পরিচালনা করে আসছেন সরকারি বাসায় ও ইপিজেড হোটেল বৈশাখী তে দীর্ঘদিন যাবত। যা দেশী-বিদেশী গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।তার নিজ কন্যার অশ্লীল অডিও কথপোকথন ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,গণমাধ্যমে প্রকাশিত কথপোকথন স্ক্রিনশট প্রমাণ করে সরকারি কোয়ার্টারের ভেতরে তাদের দেহ ব্যাবসার অভিযোগ অসত্য নয়। কবির তার বড় কন্যা কল্পনা আক্তার কেয়া কে দিয়ে নিজ শাশুড়ী গুরুতর অসুস্থ বলে মিথ্যা গল্প সাজিয়ে জোরপূর্বক ডিভোর্স করিয়েছেন টাকা পাওয়ার লোভে। যেটা নিজ শালিকা শেখ রিনা’র কাবিনের টাকা চেয়ে প্রকাশ পাওয়া আরো একটি অডিও রেকর্ড স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তারা একটি অপরাধ চক্র। গেল বছর নভেম্বর মাসে কবিরের শাশুড়ী গুরুতর অসুস্থার কারণে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তির সকল কাগজপত্র পাঠানোর নির্দেশ রয়েছে লিগ্যাল নোটিশে। যেহেতু নিজ কন্যা কেয়া আমাদের বিজ্ঞ আরেক আইনজীবী কাছে ভিডিও স্টেটমেন্ট এ বলেছিলেন,তার দ্বিতীয় স্বামী ও পরিবার ভালো। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা কবির মিথ্যার আশ্রয় নেন। এমন কি তালাক নামার কাগজে লেখা কারণ টিও কবিরের সাজানো নাটক। মেয়েকে দিয়ে কোয়ার্টার ভেতরে জোরপূর্বক ডিভোর্স কাগজে সই করিয়ো নিয়ে তিনি বিবাহ আইনের পাশাপাশি ফৌজদারি অপরাধের পাশাপাশি ১৭ জুলাই,২০২২ মেয়ের দ্বিতীয় স্বামীর নিকট থেকেও সরকারি কোয়ার্টারের ভেতরে নিজস্ব অপরাধ চক্র কে ব্যাবহার করে জোরপূর্বক তালাক নামার কাগজে সই নিয়ে তিনি ফৌজদারি অপরাধ ঘটিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী। নোটিশ গ্রহীতা কবিরের ছোট কন্যা প্রিয়া’র আরেকটি ভিডিও বক্তব্য থেকে জানা যায়,কোয়ার্টারের ভেতরে কবির স্বেচ্ছায় প্রতারনা করে কেয়ার দ্বিতীয় বিয়ে দেন যেটা ফৌজদারি অপরাধের পাশাপাশি সরকারের আবাসন আইন বিরোধী। এমন কি প্লাম্বার কবির তার মেয়ে কে দ্বিতীয় বিয়ে দিতে গিয়ে ১৫ অক্টোবর, ২০২১ সালে সরকারের সমালোচনা করেছিলেন তার স্বপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কবিরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তিনি সরকারি বেতন ও আবাসন ব্যাবহার করে তা করতে পারেন না বলে দাবি করেন আইনজীবী রাসেল প্রধান। সরকারী আবাসন আইনের তোয়াক্কা না করে কবির, ১৭ জুলাই ২০২২ নিজ মেয়ের দ্বিতীয় স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে জামাইয়ের উপর হামলা করেন এ অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করে গালিগালাজ করেন। এসময় কবির এবং তার স্ত্রী শেখ আমেনা বেগম কোয়ার্টার ভেতরে আবাসন আইনের নীতি অমান্য করে উচ্চস্বরে কথা বলে শান্তি আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটিায় । নোটিশ গ্রহীতা সরকারি কোয়ার্টার ভেতরে অপরাধ চক্র ব্যাবহার করে মেয়ের দ্বিতীয় স্বামীর মোবাইল থেকে বিয়ের তথ্যপ্রমাণ সহ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নস্ট করার অপচেষ্টা করে। এমন ব্যাক্তি কি করে সরকারি কোয়ার্টার থাকতে পারেন ? এমন প্রশ্ন আইনজীবী রাসেল প্রধানের।তিনি আরো বলেন কবিরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, সে চাকুরি বিধি-নিষেধের কোন তোয়াক্কা না করে সরকারি কোয়ার্টার ব্যাবহার করে সেখানে একটি অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন, ৭ দিনের মধ্যে তিনি স্ব-ইচ্ছায় সরকারি কোয়ার্টার ছেড়ে না গেলে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। লিগ্যাল নোটিশে কবিরকে স্বেচ্ছায় ৭ দিনের মধ্যে চাকুরী থেকে পদত্যাগ বিষয়ে রাসেল প্রধান বলেন, নোটিশগ্রহীতা প্লাম্বার কবির নিজেকে পল্লী বিদুৎ সিনিয়র অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে বড় ধরনের প্রতারনা করেছেন যা ফৌজদারি অপরাধ। কবির প্রতিটি ধাপে অসংখ্য ফৌজদারি অপরাধ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধ করে চলেছে। এমন কি সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে মিডিয়ায় কথিত সাংবাদিক ও পুলিশ পরিচয়ে তিনি যমুনা প্রতিদিন সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ সরিয়ে নিতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। লিগ্যাল নোটিশে তাকে হুমকিদাতাদের পরিচয় সম্পর্কে ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্র জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে পরবর্তী যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানাগেছে। এতোগুলা অপরাধে সম্পৃক্ত ব্যাক্তি সরকারী চাকুরী করার যোগ্য হতে পারেন না। তার জন্য নোটিশ হাতে পাওয়ামাত্র সেচ্ছায় পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে
স্থানীয় সাভার মডেল থানায় সব অপরাধ স্বীকার করে আত্নসমর্পণের জন্যেও বলা হয়েছে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে৷ বিজ্ঞ এই আইনজীবী আরও বলেন, একটি অপরাধী পরিবার কিভাবে আইনের চোখে ধুলি দিয়ে পার পেয়ে গেছে তা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে, এমন কি স্থানীয় সাভার মডেল থানার ভুমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ। যদি এই লিগ্যাল নোটিশের সদুত্তর কবির হোসেন দিতে না পারেন তবে মামলা দায়েরও হতে পারে কবিরসহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে। তিনি আরো জানান আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিশটি অভিযোগের বিপরীতে শক্ত প্রমান দেখাতে ব্যার্থ হলে জনপ্রশাসন সচিব,বিপিএটিসি সচিব সহ প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে নোটিশগ্রহীতা কবির সহ গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা, চাকুরী থেকে বরখাস্ত সহ কোয়ার্টার ভেতরে কবিরের সকল সহায়তাকারীদের বিষয়ে অবগত করা হবে।এমন কি তিন সচিব কে অবগত করা হবে স্থানীয় সাভার মডেল থানার ওসি’র ভুমিকা কতটা প্রশ্নবিদ্ধ ছিলো সে বিষয়েও এবং কোনো মামলা করবেন কিনা? এই অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে? এই বিষয় এই বিজ্ঞ আইনজীবী বলেন,লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতা ও সচিবগণ কে ধারাবাহিক লিগ্যাল নোটিশের কাজগুলো শেষ হলে, সচিবগণ লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেছিলেন কিনা? প্রয়োজনে সে বিষয়ে উচ্চ আদালতে তা অবগত করানো হবে। এরপর চুড়ান্ত আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে এই পরিবারটির বিরুদ্ধে।