টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশ নিয়ে যমুনার বুকে ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর অবকাঠামোর কাজ। এখন পর্যন্ত ৫০টি পিলারের মধ্যে শেষ হয়েছে ৩৭টির ড্রাইভিং কাজ। পিলারের উপর বসেছে ৯টি গাডার বা সুপার স্ট্রাকচার।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী তানভিরুল ইসলাম বলেন, “এই প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক। পুরোদমে কাজ চলছে, বর্তমানে অগ্রগতি ৫০ শতাংশের মতো।”
নির্দিষ্ট মেয়াদেই সেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে জানান প্রধান প্রকৌশলী।
১৯৯৮ সালের জুনে বঙ্গবন্ধু সেতু চালুর মধ্য দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ শুরু হয়। তবে ১০ বছর পর সেতুতে ফাঁটল দেখা দেয়ায় ট্রেন চলাচলে শুরু হয় ভোগান্তি।
বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ কমিয়ে ভোগান্তি দূর করতে ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজ।
কর্মদক্ষতা আর অভিজ্ঞতার মিশেলে সেতুর কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন শ্রমিক-প্রকৌশলীরা।
তারা জানান, একটা পিলার থেকে আরেকটা পিলারে যেতে সময় লাগছে প্রায় ২৫ দিন।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের আগস্টে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ। এরপরই ট্রেন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে সেতুটি।
Array