একই সঙ্গে যে কোনো চ্যালেঞ্জ পরিপূর্ণ দক্ষতা দিয়ে মোকাবেলা করার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন নিয়োগ পাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, আজকে সকালেই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে একটা আদেশ পেয়েছি সেখানে আমাকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। এজন্য প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। সুদীর্ঘ চাকরি জীবনের শেষ প্রান্তে এসে যে অভিজ্ঞতা, জ্ঞান, দক্ষতা অর্জন করেছি তা নতুন পদে কাজে লাগিয়ে সরকারের প্রত্যাশা পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
এটা নির্বাচনী বছর সে ক্ষেত্রে কি কি চ্যালেঞ্জ আছে বলে মনে করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমি কালকে দায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করবো। কারণ আমি এখন পর্যন্ত এ মন্ত্রণালয়ের সচিব। সরকারের বৈশিষ্ট্য হলো আইন বিধি নীতিমালা। সেটা যাতে ঠিকভাবে চলে। যে চ্যালেঞ্জ আসুক না কেন সেটা আমাদের পরিপূর্ণ দক্ষতা দিয়ে মোকাবিলা করবো। আমার তরফ থেকে এটুকু আমি বলতে পারি।
তিনি বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদটি সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র পজিশন। আমার প্রথম কাজটি হবে সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করা। এর মাধ্যমে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সবচেয়ে বড় শক্তি হবে এটি এবং সে কাজ করার ক্ষেত্রে আমি খুব আশাবাদী।
জ্বালানি খাত বর্তমানে খুব একটি ক্রাইসিসের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে যে আসবে তার জন্য কি রকম চ্যালেঞ্জ হবে জানতে চাইলে মাহবুব হোসেন বলেন, পরবর্তীতে জ্বালানিতে যিনি আসছেন তিনিও একজন দক্ষ কর্মকর্তা। পদন্নোতি পেয়ে তিন এখানে আসছেন। তিনি একজন দক্ষ ও সুনাম অর্জনকারী কর্মকর্তা। আমি যাওয়ার আগে তাকে আমি ব্রিফিং দিয়ে যাবো।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে জ্বালানি খাতে যে চ্যালেঞ্জগুলো তৈরি হয়েছে তা ঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি। এখন যে কাজ হাতে নিয়েছি তা নতুন সচিব এসে এগিয়ে নেবেন। তাহলে আমাদের জ্বালানি খাতের অবস্থান আরও সুদৃঢ় ও শক্ত হবে।
বৈশ্বিক কারণে জ্বালানি খাতে সমস্যার পাশাপাশি অর্থনীতিতে সংকট রয়েছে। এসব বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে সমন্বয় করা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়বে সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সেজন্যই বলেছি সমন্বয় করাটা হবে আমার মূল দায়িত্ব। সবার সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়, সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা। আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে যে সব আইন, বিধি, নীতিমালা আছে সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করা। সেটা যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারি সে দিকে আমার নজরদারি রাখবো।