ওই সময় তিনি দৈনিক কালবেলার প্রধান সম্পাদক আবেদ খান, কেজি মোস্তফা, এনায়েত উল্লাহ খান, তোয়াব খান, এ বি এস মুছাসহ দেশবরেণ্য সাংবাদিকদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
নরসিংদীর রায়পুরা প্রেস ক্লাবের ৪০ বছরপূর্তি উপলক্ষে বণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও গুণীজন সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রায়পুরা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও ইত্তেফাকের উপজেলা প্রতিনিধি মো. মোস্তফা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে বাংলা ভিশনের প্রধান সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল হাই সিদ্দিক স্মৃতিচারণকালে বলেন, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যায়নকালে ১৯৮৩ সালে এ প্রেস ক্লাবটি প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ছিলেন এই প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন। রাস্তা-ঘাট না থাকায় ২৪টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উপজেলার খবর সংগ্রহ করা ছিল খুবই দুরূহ কাজ। এখন অনেক রাস্তা-ঘাট হয়েছে।
যাতায়াত ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সে অনুযায়ী সাংবাদিকদের জীবনমানের তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। তিনি সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বেশি বেশি করে লিখে সমাজ-সংস্কারে অনবদ্য ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজগর হোসেনের পৃষ্ঠপোষকতায় ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের আরও উপস্থিত ছিলেন, রায়পুরা পৌরসভার মেয়র মো. জামাল মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসাইন, নরসিংদী প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, মো. মাজহারুল পারভেজ, সহকারী কমিশনার শফিকুল ইসলাম ও পরিদর্শক মো. আজীজুর রহমান।