নিজস্ব প্রতিবেদক: নাগরিকদের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার নিয়ে কুমিল্লা-৯ (লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর হয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মোহাম্মদ জাকির হোসেন। রাজনীতির মাঠে এক নতুন মুখ হিসেবে তার আগমন কেবল একটি দলের প্রার্থীতা নয়, বরং একটি ‘ন্যায্য, সমৃদ্ধিশালী এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার এক সুদূরপ্রসারী স্বপ্নের বীজ বপন।
দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন এবং তার রাজনৈতিক দর্শন ও লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তার বক্তব্যে বারবার উঠে এসেছে তারুণ্যের শক্তি, কারিগরি শিক্ষা এবং টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো যুগোপযোগী বিষয়গুলো, যা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি প্রচলিত রাজনীতির বাইরে গিয়ে একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল ধারা তৈরি করতে চান।
মোহাম্মদ জাকির হোসেন অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেন, “আমি ন্যায্য, সমৃদ্ধিশালী এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতিতে এসেছি।” তার দৃষ্টিতে, একটি সমৃদ্ধিশালী জাতি গঠনের ভিত্তি হলো ন্যায়বিচার, যা সমাজের সর্বস্তরে সমতা নিশ্চিত করবে। এর সাথে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা যুক্ত করে তিনি দেশের দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উপর জোর দেন।
তিনি মনে করেন, প্রযুক্তি ও আধুনিকায়নের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। তার এই স্বপ্ন পূরণের পথে তিনি কুমিল্লা-৯ আসনের প্রতিটি নাগরিককে সঙ্গী হিসেবে চেয়েছেন, যেখানে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নই হবে তার প্রধান লক্ষ্য।
জাকির হোসেন তার মূল লক্ষ্যগুলোকে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন। তার প্রধান মনোযোগ হলো ‘গ্রাম ও শহর উভয় অঞ্চলে যুবশক্তির বিকাশ’। তিনি স্বীকার করেন যে দেশের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ হলো যুবক, যাদের সঠিক পরিচর্যা ও সুযোগ দিতে পারলে তারা দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি হতে পারে।
তিনি মনে করেন, চাকরির পেছনে ছোটা নয়, বরং তরুণদের ‘উদ্যোক্তা’ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি ‘কারিগরি শিক্ষার প্রসার’ অত্যন্ত জরুরি। কারিগরি শিক্ষা যুবকদের হাতে-কলমে দক্ষতা দেবে, যা তাদেরকে আত্মনির্ভরশীল করবে এবং স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম করে তুলবে। কুমিল্লা-৯ আসনে যুবকদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং প্রণোদনামূলক প্রকল্প চালু করা তার অন্যতম পরিকল্পনা।
তিনি সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য সমান সুযোগ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান, যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।
নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা এবং এনসিপি’র আদর্শে আস্থা দীর্ঘদিনের ‘নেতৃত্ব এবং পেশাদার জীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে’ মোহাম্মদ জাকির হোসেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নীতি ও আদর্শের প্রতি তার অবিচল আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, এনসিপি’র মূল ভিত্তি হলো ‘স্বচ্ছতা, উদ্ভাবন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি’। এই আদর্শগুলোই তাকে রাজনীতিতে আসতে এবং কুমিল্লা-৯ আসনের মানুষের সেবা করতে অনুপ্রাণিত করেছে।

