নিজস্ব প্রতিবেদক :সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত বহুল প্রতীক্ষিত বাংলা চলচ্চিত্র “আলী” দেশের বিভিন্ন সিনেপ্লেক্সে সাফল্যের সঙ্গে প্রদর্শিত হচ্ছে। বসুন্ধরা সিনে কমপ্লেক্স, সনি স্কয়ার সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়নসহ একাধিক হলে চলছে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। ছবির গল্প, নির্মাণ ও অভিনয়—সব মিলিয়ে প্রশংসায় ভাসছে “আলী”। বিশেষ করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন শওকত সজল অভিনীত ‘সাজু মামা’ চরিত্রটি।
চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ। রোশনী চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেলিতা মেহজাবিন অর্পা। তবে চমক হয়ে এসেছে ‘সাজু মামা’ চরিত্র, যেটিকে রসিকতা, আবেগ এবং বাস্তবতার অসাধারণ মিশ্রণে উপস্থাপন করেছেন অভিনেতা শওকত সজল।
দর্শকদের অভিমত অনুযায়ী, ‘সাজু মামা’ শুধু একটি চরিত্র নয়—এটি যেন আমাদের পরিচিত পরিবারের এক আপনজন, যিনি হাসিয়ে তোলেন, আবার চিন্তায়ও ফেলেন। বাস্তবধর্মী সংলাপ, সংবেদনশীল অভিনয় এবং দৃশ্যপটের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সজলের উপস্থাপনায় চরিত্রটি আলাদা মাত্রা পেয়েছে।
পরিচালক বিপ্লব হায়দার নিজেই সিনেমার কাহিনী রচনা ও নির্মাণ করেছেন। গল্পটি নির্মিত হয়েছে সমাজের সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে, যেখানে উঠে এসেছে প্রেম, সংঘাত, আত্মত্যাগ এবং নৈতিকতার টানাপোড়েন। পুরো সিনেমা জুড়ে সাজু মামার উপস্থিতি একদিকে কৌতুকের, অন্যদিকে জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষার অনুরণন।
এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত অভিনেতা মিশা সওদাগর, শতাব্দী ওদুদ, কাজী হায়াত, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ ইকবাল, পারভেজ সুমন, নমিরা, এবং জহির ইসলাম।
অভিনেতা শওকত সজল বলেন,
“সাজু মামা চরিত্রটি আমার কাছে খুবই ঘনিষ্ঠ। দর্শক যখন বলে—‘আপনি আমাদের মামা হয়ে গেছেন’—তখন বুঝি, একটা চরিত্র মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে গেছে।”
সিনেমা বিশেষজ্ঞদের মতে, “আলী” একটি ব্যতিক্রমধর্মী বাংলা ছবি, যেখানে শিল্পী, নির্মাতা ও কাহিনীকার—সবার সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে একটি হৃদয়স্পর্শী অভিজ্ঞতা।
এখনও যাঁরা দেখেননি, তাঁদের জন্য এখনই সময়। “আলী” সিনেমাটি চলমান রয়েছে দেশের শীর্ষ হলগুলো।
Array