গাজার প্রায় ৭৭ শতাংশ এলাকা ইসরায়েলি বাহিনী দখল করে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। হামাসের মতে, ইসরায়েল স্থলসেনা পাঠিয়ে, লোকজনকে সরে যেতে বলে বা বোমা হামলা চালিয়ে এসব এলাকা দখল করছে।
রোববার হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠী জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা গাজার বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় বোমা, ট্যাংক ধ্বংসকারী রকেট এবং গোপন অভিযান ব্যবহার করা হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ ইসরায়েলি বাহিনী গাজার একটি স্কুল-আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করে অন্তত ২৬ জনকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে। একই সময়ে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের প্রধান বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৩ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা বহু মানুষের সন্ধান না মেলায় প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয় ১ হাজার ১৩৯ জন এবং ২০০ জনের বেশি লোককে জিম্মি করা হয়।
এদিকে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ২০টি ইউরোপীয় ও আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি বৈঠক চলছে। স্পেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তি স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে এবং ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে জোরালো কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
স্পেন স্পষ্ট জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় নেওয়ার সময় এসেছে।
Array