আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে ‘শাহবাগ ব্লকেড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তার পরপরই শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে মিন্টো রোড থেকে শাহবাগ অভিমুখে মিছিল নিয়ে আসেন আন্দোলনকারীরা। এরপর শাহবাগ মোড়ে বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচি ঘোষণার সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ইন্টেরিমের কানে আমাদের দাবি পৌঁছায়নি। সেজন্য আমরা সমাবেশস্থল থেকে শাহবাগ অবরোধে যাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থান করব।
তিনি বলেন, ‘১০০টা ফেরাউন একসঙ্গে করলেও একটা হাসিনা পাওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগকে কোন কারণে রাজনৈতিক দল বলা হয়? আমরা শুনতে পাচ্ছি প্রধান উপদেষ্টা নাকি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসে তিনি নাকি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এর আগে সকালে যমুনার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই জমায়েতের ডাক দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
এ সময় তিনি বলেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজ তারা বুঝতে পারবে কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।
পরে বিকেল পৌনে তিনটায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল সংলগ্ন সড়কে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা আশরাফ মাহাদী। সমাবেশে এনসিপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ইসলামি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে। হাসনাত আবদুল্লাহ এ অবস্থান কর্মসূচির ডাক দেন। তার আহ্বানে সাড়া দেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাত ১টার দিকে মিছিল নিয়ে যমুনার সামনে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তাদের সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও ছিলেন।
এনসিপির পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। রাত ১টার পর হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে যোগ দেন। রাত ২টায় যোগ দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতারা। এ ছাড়া বিক্ষোভে যোগ দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জুলাই ঐক্য, ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরাও।
Array