বরগুনা প্রতিনিধিঃ
পুলিশের চাকরি করতে টাকা লাগে। এমন বাক্য শুনলেও সত্য কতটুকু? এই প্রশ্ন সমাজে বেশ রয়েছে। তবে যতগুলো টাকা লেনদেনের ঘটনা প্রকাশ পায় সবগুলোই কোননা কোন দালাল বা প্রতারকরাই টাকা নিচ্ছেন বলে দৃশ্যমান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আদৌ কিছু জানেন না এবং ওই দালাল বা প্রতারককে চিনেনও না। এমন ঘটনা দেশে অনেক রয়েছে।
প্রতারক চক্র ৫-১০ জনকে টার্গেট করে টাকা নেয়। সেখান থেকে ১ বা ২ জন বা তার অধিক নিয়োগ পেলে তাদের টাকা রাখে, বাকিদের টাকা ফেরতও দেয়। এভাবে তারা সমাজের কাছেও বেশ বিশ্বাস অর্জন করে। মানুষের বাহবাও পায় বেশ। “লোকটা সৎ না হলে বাকিদের টাকা ফেরত দিত না” এমন বাক্য প্রতিষ্ঠিত হয়। অথচ তিনি আদৌ কিছু করেনি কিংবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কেউ বিষয়টি অবগত নন। এভাবেই দালাল কিংবা প্রতারক চক্র প্রতারণার ফাঁদ বিস্তার করে।
সম্প্রতি এমন একটি চক্রকে গ্রেফতার করে বরগুনা জেলা পুলিশের একটি টিম। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনায় রাখেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বরগুনা শহরের প্রধান সড়কগুলোতে সাধারণ মানুষদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরণ করে বরগুনা জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম দুপুর ১২টার সময় লিফলেট বিতরণ করার পাশাপাশি মানুষদের সচেতন করতে মাইকিং করেন।
আগামী ১৬-১৮ এপ্রিল পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ পেতে কেউ যাতে প্রতারণার ফাঁদে না পরে সে জন্যই পুলিশের এমন উদ্যোগ বলে জানান পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল। তিনি বলেন, পুলিশে চাকরি দেয়ার কথা বলে কেউ যদি টাকা দাবী করে তাহলে আমাদের অবহিত করুন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। চাকরি পেতে মেধা, যোগ্যতা ও শারিরীক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। কোন টাকার দরকার হয় না।
Array