কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন মার্ক কার্নি। শুক্রবার (১৪ মার্চ) শপথ গ্রহণের মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন।
কার্নির জন্ম ১৯৬৫ সালে কানাডার উত্তর-পশ্চিম টেরিটরিজের ফোর্ট স্মিথে এবং তিনি আলবার্টায় বেড়ে ওঠেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং অক্সফোর্ড থেকে স্নাতকোত্তর ও ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্যাংক অব কানাডা (২০০৮-২০১৩) এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর (২০১৩-২০২০) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা তাকে আর্থিক সংকট মোকাবিলায় দক্ষ নেতা হিসেবে পরিচিত করেছে।
রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও কার্নির অর্থনৈতিক দক্ষতা এবং সংকট মোকাবিলার অভিজ্ঞতা তাকে এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে কানাডার নেতৃত্ব দিতে সক্ষম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তাই দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় তিনি কী কার্যকর পদক্ষেপের নেবেন সে দিকে তাকিয়ে রয়েছে পুরো বিশ্ব।
স্থানীয় সময় রোববার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন লিবারেল পার্টির প্রেসিডেন্ট সচিত মেহরা। ওই দিন সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই হয়। এতে মার্ক কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিনা ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১ হাজার ১৩৪ ভোট। কানাডার রাজনৈতিক ব্যবস্থায় হাউস অব কমন্সের সবচেয়ে বড় দল হিসেবে যিনি লিবারেল পার্টির প্রধান হবেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রীও হন তিনি।
৫৯ বছর বয়সী কার্নি হার্ভার্ড এবং অক্সফোর্ডের স্নাতক। তিনি ১৯৮৮ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরেট উভয়ই ডিগ্রি অর্জন করেন।
কার্নি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আইস হকি দলে গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছিলেন। রিডার্স ডাইজেস্ট কানাডায় প্রকাশিত ২০১১ সালে কার্নির একটি প্রোফাইলের তথ্য বলছে, তিনি ইংরেজি সাহিত্য এবং গণিত অধ্যয়ন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু কানাডিয়ান-আমেরিকান অর্থনীতিবিদ জন কেনেথ গ্যালব্রেথের বক্তৃতা শুনে অর্থনীতিতে তার গভীর আগ্রহ তৈরি হয়।
কার্নির হার্ভার্ডের একজন রুমমেট কানাডিয়ান পিটার চিয়ারেলি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ও তিনি জনসেবা করতে চাইতেন। সেদিকেই তার ঝোঁক ছিল। জনসেবায় আত্মনিয়োগ করার প্রয়োজনীয় গুণাবলী তার মধ্যে আগে থেকেই ছিল বলে মনে হচ্ছে।
Array