শাপলা চত্বরের ঘটনায় হেফাজতের করা মামলায় শেখ হাসিনা ও বেনজীর আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া এই মামলায় চার অভিযুক্ত যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন, তাদের প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট মূলে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এই চারজন হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোল্লা নজরুল ইসলাম।
অন্যদিকে সাভারের আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ট্রাইব্যুনাল দশজনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর নায়েক মো. সোহেল মিয়া গ্রেপ্তার হলে বুধবার তাকে হাজির করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ট্রাইবুনাল।
প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। চেয়ারম্যানসহ ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রসিকিউশন পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এমএইচ তামিম, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, তারেক আব্দুল্লাহ ও শাইখ মাহাদী।
এর আগে, ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে গণহত্যার অভিযোগ এনে শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে হেফাজতে ইসলাম। ২৬ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই অভিযোগ করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতারা। এই অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ, সাবেক আইজিপি, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমসহ সংশ্লিষ্টদের আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ব্ল্যাকআউট করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতর্কিত হামলায় গুলি করে হত্যা করা হয় শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে। পরে সরকারের পক্ষ থেকে শাপলা চত্বরে গুলি করে কাউকে হত্যা করা হয়নি বলে দাবি করে তৎকালীন সরকার। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে ১৩ দফা দাবিতে শাপলা চত্বরে সমাবেশের আয়োজন করে হেফাজতে ইসলাম। সেখানে অবস্থান নিয়ে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
Array