ওসমানীনগর প্রতিনিধি::
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের নামাজে অভ্যস্ত করে তোলার লক্ষ্যে সিলেটের ওসমানীনগরে নামাজ আদায় প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে উছমানপুর ইয়ুথ ইউনিটি। টানা ৪০দিন তাকবীরে উলার সাথে মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়ুয়া শিশু-কিশোরদের বাইসাইকেল ও নগদ টাকাসহ হরেক রকমের উপহারসামগ্রী দেয়া হবে বলে জানান আয়োজকেরা ।
এর আগে শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে উছমানপুর ইয়ুথ ইউনিটির উদ্যোগে উছমানপুর গায়েবী জামে মসজিদে জুম্মার নামাজের আগে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং নামাজের পরে শিন্নি বিতরণ করা হয়। মাগরিবের নামাজের পরে সংগঠনের প্রত্যেক সদস্য ও উছমানপুর গায়েবী জামে মসজিদের মুসল্লিদের নিয়ে সম্মিলিত কবর জিয়ারত ও দোয়া করা হয়।
নামাজ প্রতিযোগিতা আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারী ফজরের নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হবে এবং আগামী ২৯ মার্চ প্রতিযোগিতা সমাপ্ত হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ১৬ ফেব্রুয়ারী রাত ১০টার মধ্যে আয়োজকদের সাথে যোগাযোগ করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ ফ্রী।তবে,প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর বয়স ৭-৩৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আয়োজকরা জানান,ঘোষিত তারিখের ৪০ দিন তাকবীরে উলার সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজ উছমানপুর জামে মসজিদে আদায় করতে হবে। বিশেষ অসুবিধার কারণে উছমানপুর জামে মসজিদে নামাজ পড়তে না পারলে, অন্য যে কোন মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করতে হইবে। প্রমাণ স্বরূপ উক্ত মসজিদের ঘড়ির টাইম ও তারিখের ছবি তুলে আনতে হবে। ফজরের নামাজ বাধ্যতামূলক উছমানপুর জামে মসজিদে আদায় করতে হবে। ইসলামিক কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ১ম রমজান থেকে কুরআন অথবা সুরা সহি শুদ্ধভাবে ২৭ রমজান পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তবে যারা এখানে কুরআনে হাফেজ আছেন উনাদের সহি শুদ্ধভাবে সুরা এবং কুরআন শেখায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। এই চল্লিশদিন কোন প্রকার জামেলায় জড়ানো যাবেনা। প্রত্যেক নামাজের পর ইমাম সাহেবের অথবা মুয়াজ্জিন সাহেবের নিকট উপরোক্ত বিষয়ে হাজিরা দিতে হবে।
আসন্ন রমজানে মাসব্যাপী জোহরের নামাজের পর ছোট, বড় সবাইকে সহি শুদ্ধভাবে সূরা এবং কুরআন শিক্ষার প্রশিক্ষণ ফ্রিতে দেওয়া হবে।
এবং ৫ থেকে ১০ বছরের ছেলে এবং মেয়েদেরকে নিয়ে সহীহ শুদ্ধভাবে সূরা ও কুরআন শিক্ষা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। তাদের মধ্যে থেকে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকারীকে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হবে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন আশাকরি ‘এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের নামাজি ও সৎ বানাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।