বাংলাদেশে বছরের পর বছর একচেটিয়ে ব্যবসা করেছে ভারত। কিন্তু হাসিনার পতনের পর সব কিছু যেন উলটপালট হয়ে গেছে। এবার ভারতকে বাদ দিয়ে অন্য দেশ থেকে আলু ও পেঁয়াজ কেনার কথা ভাবছে বাংলাদেশ। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে প্রতিবেশী দেশটি।
একদিকে বাংলাদেশের বাজার হারাচ্ছে ভারতীয়রা, অন্যদিকে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান সে সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। এবার আলু এবং পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে পাকিস্তানসহ অন্য আরও কয়েকটি দেশ বিকল্প হতে যাচ্ছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে নয়াদিল্লির। এ বিষয়ে মঙ্গলবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে চিনি আমদানির পর এখন আলু-পেঁয়াজের জন্য অতিরিক্ত উৎসের অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ। ফলে পাকিস্তান থেকে এ পণ্যগুলো কেনার সম্ভাবনা রয়েছে। পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং অতীতে আলু ও পেঁয়াজের প্রধান সরবরাহকারী ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য বাংলাদেশের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যমটির দাবি, বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে আলু আমদানির জন্য ভারতের ওপর নির্ভর করে থাকে। আর পেঁয়াজ প্রাথমিকভাবে ভারত এবং মিয়ানমার থেকে নেয়। পাকিস্তান, চীন এবং তুরস্ক থেকেও স্বল্প পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ। তবে বর্তমানে ভারত নির্ভরতা কমাতে নয়াদিল্লিকে বাদ দিয়ে পাকিস্তান-তুরস্ক-চীন বা অন্য কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ এবং আলু কিনতে পারে বাংলাদেশ।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন বা বিটিটিসি আলু ও পেঁয়াজ আমদানির জন্য বেশ কিছু সম্ভাব্য বিকল্প উৎস চিহ্নিত করেছে এবং এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে। এছাড়া এসব বিকল্প নিয়ে আমদানিকারকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে।
ইন্ডিয়া ডটকম বলছে, ভারত থেকে আলু না কিনে বিকল্প উৎস হিসেবে জার্মানি, মিসর, চীন এবং স্পেন থেকে এই আমদানি করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের। একইসঙ্গে ভারতকে বাদ দিয়ে চীন, পাকিস্তান এবং তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করতে পারে ঢাকা।
Array