বিগত সময়ে সারা দেশের মধ্যে মেহেরপুর জেলার জামায়াত নেতাকর্মীরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন। তারা কখন বাড়িতে, কখন মাঠে, আর কখন জেলে থেকেছে সেটা কেউ বলতে পারেনি। আর এই জেলায় জামায়াতের নারী কর্মীরা সবচেয়ে বেশি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত জেলা জামায়াতের ‘রুকন সম্মেলন ২০২৪’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন।
তিনি বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে জামায়াত ইসলাম বর্তমানে দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘদিন দুঃখ-কষ্ট ভোগ করা মানুষ এখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। বিশ্বাস করতে শুরু করেছে একমাত্র জাময়াত দুর্নীতি ও শোষণমুক্ত রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমার আহ্বান থাকবে জামায়াত ইসলামের প্রদত্ত ১০ দফা সংস্কার করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যেন সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া হয়।
এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, পালিয়ে যখন গেছেন তখন আর ফেরার সুযোগ নেই। দেশে এসে আর ধ্বংসের রাজনীতি করার সুযোগ পাবেন না। ইতোপূর্বে অনেক ষড়যন্ত্র ছাত্র-জনতা নস্যাৎ করে দিয়েছে। তাই এখন টুস করে ঢুকে পড়ব, ট্রাম্পের পোস্টার নিয়ে মিছিল করব এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কোনো লাভ হবে না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আপনি পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। ইতিহাসে এমন নজির আর নেই।
মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মো. তাজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসেন। এ ছাড়াও অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য ড. আলমগীর বিশ্বাস ও মেহেরপুরের জেলার নায়েবে আমির মাওলানা মাহবুব উল আলম।
Array