জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। গতকাল রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএফআইইউর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২ অক্টোবর পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সাকিব, স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করা হয়। এরপর তদন্ত শেষে সরকারের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেয় বিএফআইইউ।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে সাকিবের বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। তবে তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, অ্যাকাউন্ট জব্দের মধ্য দিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের অচিরেই দেশে ফেরার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হলো। এ মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন সাকিব। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পর্যন্ত তার না খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামা হয় কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এরই মধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল এই তারকা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে তিনি ছিলেন একজন সংসদ সদস্য। আন্দোলনকালে তিনি ছিলেন দেশের বাইরে এবং
ছাত্র-জনতার ওপর গুলির ঘটনায় কোনো মন্তব্যও করেননি। তার এই নীরবতাকে পতিত সরকারের প্রতি তার সমর্থন ধরে নিয়ে সাকিবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
এর ফলে ধারণা করা হচ্ছিল, ৫ আগস্টের পরই সাকিবের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে; কিন্তু পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটেও জাতীয় দলের হয়ে পাকিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলার সুযোগ পান তিনি। ভারতের কানপুরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন এবং ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলতে চান ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু তার খেলা নিয়ে
পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের বিবাদের মুখে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠলে আর দেশে ফেরা হয়নি সাকিবের।
Array