বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাসুম বলেছেন, শেখ হাসিনা এ দেশে তার বাবা হত্যার বিচারের রাজনীতি করেছেন। এ দেশের মানুষের প্রয়োজনে তার দল প্রতিষ্ঠিত হয়নি। তার পুরো শাসন আমল ছিল লুটপাট ও সন্ত্রাসের রাজত্ব। কোটি কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করাসহ অবৈধ নির্বাচনের নামে ক্ষমতা দখলের মহড়া দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লার চান্দিনায় পৌর আধুনিক কমিউনিটি সেন্টার হলরুমে জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা জেলা উত্তর শাখার উদ্যোগে রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মেধার কোনো মূল্যায়ন ছিল না। মেধাবী ছেলেমেয়েরা বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে গেছে। কারণ দেশটা বসবাসের উপযোগী ছিল না। দলীয়করণ করার মাধ্যমে জাতিকে মেধাশূন্য করেছে হাসিনা সরকার।
আওয়ামী লীগ বিগত সময়ে অপকর্ম ও লুটপাটের দিক থেকে ১৯৭১ সালকেও হার মানিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ৫ আগস্ট যে অভ্যুত্থান হয়েছে, এই অভ্যুত্থান শুধু ছাত্রদের নয়, ১৫ বছর জুলুম-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যে ক্ষোভ ও হতাশা জন্ম নিয়েছিল, তারই বিস্ফোরণ ঘটেছিল। আল্লাহ তাআলা দেখিয়ে দিয়েছেন তিনি জুলুমবাজদের ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। একটি দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে জামায়াতের রুকনদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই, যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। তবু তারা জামায়াতের অগ্রযাত্রা রোধ করতে পারেনি বরং শত শাহাদাত ও জুলুম-নির্যাতনের পথ ধরেই জামায়াত কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে সফলভাবেই অগ্রসর হচ্ছে। আর আগামী দিনে মানবতার মুক্তির জন্য বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত ইনশা আল্লাহ। এ সময় তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল মতিনের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কুমিল্লা মহানগরীর আমির ও কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের সহকারী পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের টিম সদস্য মো. আব্দুস সাত্তার।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন কুমিল্লা জেলা শাখা জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক লোকমান হাকীম ভূইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ড. মোবারক হোসাইন,কুমিল্লা জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আলমগীর সরকার।
Array