প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে, ১৬ না ১৮ মাস পরে, এটা ঠিক করবেন দেশের জনগণ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হেয়ার রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ড. ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বিশ্বনেতারা রাষ্ট্র মেরামতের বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। এ অবস্থায় রাষ্ট্র সংস্কারে ৬টা কমিশনের কাজ শুরু হয়েছে। তবে পুরোদমে সংস্কার শুরুর আগে উপদেষ্টা পরিষদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরেক দফা আলোচনা করবেন।
এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা হবে কি না সে বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচন ১৬ মাস না ১৮ মাস পরে হবে এটা আসলে ডিসাইড করবে বাংলাদেশের জনগণ। কমিশনের রিপোর্ট, কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে পলিটিক্যাল কনসালটেশন এবং এই কনসালটেশনের পরে বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশের সোসাইটি, বাংলাদেশের সমস্ত স্টেকহোল্ডার যখন ডিসাইড করবেন, আমরা এ বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছি- তখন নির্বাচনের একটি সমাধান হবে। এটা কবে হবে তা এখনই নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। আর আমার মনে হয়, সেনাপ্রধান এখানে মতামত দিয়েছিলেন। আলোচনাটা খুব দ্রুত হবে এটুকু আমি বলতে পারি, আলোচনাটা হওয়ার পরেই দেখবেন কমিশনের কাজ শুরু হচ্ছে।
এ ছাড়া বিশ্ব নেতারা টাইম ফ্রেম জানতে চাননি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য এবং জনগণসহ সব স্টেক হোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়েই নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্বাচনে অংশগ্রহণসংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, তিনি এক কথার মানুষ। তিনি সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। তিনি রাষ্ট্র মেরামতের এ সুযোগকে মহৎ একটি কাজ হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং এটিকে তিনি সফল জায়গায় নিয়ে যেতে চান।
আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার আর্থিক সমর্থনের বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সংস্কার কমিশনগুলোকে বিশ্বনেতারা সমর্থন জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতিসংঘে সফরের সময় তার সরকারকে বিশ্ব নেতারা সমর্থন জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি