• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ নির্ধারণের প্রস্তাব 

     অনলাইন ডেস্ক অনলাইন ডেস্ক 
    18th Sep 2024 5:55 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসর ৬৫ বছর নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে ‘বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)।
    প্রস্তাবটি যাছাইবাছাইয়ের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। চাকরি ও অবসরের বয়সের বিষয়টি নির্ধারণের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
    বিএএসএ মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জনপ্রশাসনে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন থেকে প্রাপ্তপত্র এইসঙ্গে পাঠানো হলো। বর্ণিত বিষয়ের সঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিধি সম্পৃক্ততা থাকায় সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
    এদিকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর নির্ধারণের জন্য গত কয়েক বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত সপ্তাহেও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।
    একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, ‘আমরা গত ১৪ বছর ধরে এ দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু আজও তার সমাধান পাইনি।’ বিষয়টি সমাধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি কামনা করেন তারা।
    বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এ নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই বলে জানিয়েছিলেন তৎকালীন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন। এ বছরের ৩ জুলাই সংসদে তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে ৩০ বছরের কম বয়সী প্রার্থীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

    তিনি আরও বলেছিলেন, বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনজট নেই। আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য কোনো সেশনজট নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা ১৬ বছরে এসএসসিসহ ২৩/২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে থাকে। চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর হওয়ার ফলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬ থেকে ৭ বছর সময় পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সমীমার মধ্যে একজন প্রার্থী আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/১ বছর লেগে যায়। ফলে চাকরিতে যোগদানের জন্য ন্যূনতম বয়স ৩০ বছর থেকে ৩৫ বছর করার যে দাবি করা হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে তার কাছাকাছি পর্যায়ে উপনীত হয়।
    পাবলিক সার্ভিস কমিশনের রিপোর্টের প্রসঙ্গ টেনে ফরহাদ বলেন, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন স্তরে উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের বয়স ও জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী কম বয়সী (২৩-২৫) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে বেশি (৩৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ) এবং বেশি বয়সী (২৯ এর ঊর্ধ্বে) সুপারিশকৃত প্রার্থীর সংখ্যা সব থেকে কম ১ দশমিক ৭১ শতাংশ)।

    তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় বর্তমানে শূণ্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদে বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এসব শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।

     

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2024
    M T W T F S S
     1
    2345678
    9101112131415
    16171819202122
    23242526272829
    30