ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্রুত ভারত সরকার বাংলাদেশে পাঠাবে বলে আশা করেছেন ১২-দলীয় জোটের নেতারা। এজন্য তারা দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপও কামনা করেছেন। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ ভারতের আগ্রাসী’ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে জোটটির নেতারা এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। আমরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রেখে আগামী দিনে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে পথ চলতে চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের গত এক মাসের কার্যকলাপের মধ্যে সবচেয়ে প্রধান ভূমিকা হলো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করে স্বাধীন সার্বভৌম একটি পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে। তাতে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং খুব ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ভারত আমাদের দেশের বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্রয় দিয়ে আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করেনি। ভারতকে আমরা আজও বন্ধু হিসেবে গণ্য করতে চাই। কিন্তু তাদের থেকে কোনো অবন্ধুসুলভ আচরণ সহ্য করতে পারি না। তিনি বলেন, ভারতের উচিত হবে বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বিতাড়িত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া। আমাদের সীমান্তের সমস্ত সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা।
সভাপতির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ভারতের এমন বক্তব্যে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারের উচিত এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করা। কোটা সংস্কার আন্দোলন শুধু কোটার জন্য করা হয়নি, এটা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধের আন্দোলন ছিল। সেই স্বৈরাচারকে আমরা দ্রুত দেশে ফেরত চায়।

এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন শামসুদ্দিন ফারভেজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ।