ভারতে এখন সোনা নিয়ে চলছে আলোচনা। ইংল্যান্ড থেকে ১০০ টনের বেশি সোনা এসেছে ভারতে। ভারতের জমা রাখা সোনাই ভারত ফিরিয়ে আনছে। এসব সোনা থাকবে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ভল্টে।
শুধু ভারতের নয়, বিভিন্ন দেশের সোনাও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মাটির নিচে থাকা ৯টি বড় বড় ভল্টে জমা রয়েছে।
জানা গেছে, ভারত বিদেশ থেকে মূলত তেল আমদানি করে থাকে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গেই এই ব্যবসা করে ভারত। ১৯৯১ সালের আগে ভারতে প্রয়োজনীয় তেলের বেশির ভাগ জোগান আসত ইরাক থেকে। কিন্তু নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে ইরাক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে ছিল আমেরিকার চোখ রাঙানি। সব মিলিয়ে তেলের দাম হু হু করে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ভারতে তেলের সংকট দেখা দেয়। তেল কিনতে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ডলারের। কারণে বিদেশে ভারতের টাকা চলে না। কীভাবে ডলার পাওয়া যাবে তার পথ খুঁজতে থাকে তৎকালীন সরকার।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্ব ব্যাংক থেকে ডলার নেওয়া ছাড়া উপায় ছিল না ভারতের। কিন্তু সেখান থেকে ডলার নিতে গেলে মেনে চলতে হতো তাদের দেওয়া শর্ত। ভারত সেসময় বিকল্প পথ খুঁজতে থাকে। তখনই সোনা বিদেশি ব্যাংকে রাখার পরিকল্পনা মাথায় আসে সরকারের। তবে আমেরিকার দৃষ্টি এড়িয়ে সোনা অন্য কোনও বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখাই ছিল বড় চ্যালেঞ্জ।
গোপনে সোনা ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ব্যাংক অব জাপানের কাছে জমা রাখে ভারত। তার বিনিময়ে ডলার নেয়। এই পুরো কাজটি ভারত সরকার গোপনে করার চেষ্টা করলেও কয়েকটি সংবাদপত্রে তা ফাঁস হয়ে যায়। ফলে বিদেশে জমা রাখা সোনাই ভারতে ফেরানো শুরু হয়েছে।
একইসঙ্গে রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ অনেক দেশই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ভারতও তাই ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের কাছে এখন সোনা রয়েছে ৮২২ মেট্রিক টন। বিগত পাঁচ বছরে ভারত ২০৩.৯ মেট্রিক টন সোনা কিনেছে। তার মধ্যে কিছু মজুত রয়েছে আরবিআইয়ের কাছে। কিছু বিদেশি ব্যাংকে জমা রাখা হয়েছে।
Array