বাকৃবি প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের আউশ ধান আবাদে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) ।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে “আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়” শীর্ষক এক কর্মশালায় দেশের ছয়টি জেলার অন্তর্গত ৬০টি উপজেলার ৪৮ জন কৃষকদের কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘কৃষক পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই ছয় জেলার ৪৮ জন উপসহকারি কৃষি অফিসার ও ৪৮ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
ময়মনসিংহের ডিএই’র ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেছেন বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর।
ড. জাহাঙ্গীর বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে সেচ দেয়া, বছরের পর বছর একই চাষ না করা, জমিতে চাষ কম দেয়া ও ফসলের উচ্ছিষ্ট জমিতে ফেলে রাখার মাধ্যমে জমির উর্বরতা ও ফলন বাড়ানো সম্ভব।
তাপদাহ, লবণাক্ততা, বন্যা, খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে কৃষি উৎপাদন করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় জৈব পদার্থ ব্যবহারের বিকল্প নেই। গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ কমাতে জৈব পদার্থ ব্যবহার করতে হবে।
ডিএই’র মহাপরিচালক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না। তাঁর নির্দেশেই কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা। পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে। মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সারের বিকল্প নেই। ভার্মি কম্পোস্ট, জৈব পদার্থ সহ ফসলের অবিশিষ্টাংশ পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে।’
Array