ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে এবার বিক্ষোভে নেমেছেন ব্রিটিশ বাঙালি বাংলাদেশি সচেতন নাগরিকরা।
শনিবার (১৮ মে) সকালে পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে এবং দুপুরে লন্ডনের বিবিসি অফিসের সম্মুখ থেকে ১০ ডাইনিং স্ট্রিট পর্যন্ত ব্রিটিশ বাঙালিসহ বহুজাতিক মানুষেরা জাস্টিজ ফর প্যালেস্টাইন, ব্যাঙ্গলিজ ফর প্যালেস্টাইন স্লোগানে মুখরিত করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এতে অংশ নেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট, গবেষক আনসার আহমেদ উল্লাহ, নুরুউদ্দিন আহমেদ, রাজন উদ্দিন জালাল, রফিক উল্লাহ, শেখ নুর, সাইফুল আলম, ফারুক খান, এনাম হক, সৈয়দ গুলাব আলী, সাংবাদিক জুয়েল রাজসহ বহুজাতিক মানুষেরা।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা কুইনমেরী বিশ্ববিদ্যালয় কুইনস ব্লিডিংয়ের গেইটের সামনে দীর্ঘসময় বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়। একইভাবে কুইনমেরী, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভ করছেন। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম এটি।
ইতোমধ্যে লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন কয়েকশ শিক্ষার্থী। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একগুচ্ছ দাবি উত্থাপন করা হয়। ইসরায়েলকে সব ধরনের অর্থায়ন বন্ধ, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ নীতি সংস্কার, ইসরায়েলকে বর্জন, গাজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনর্নির্মাণসহ এতে বেশ কিছু দাবি রয়েছে।
অক্সফোর্ডের মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্টোরি ও কেমব্রিজের কিংস কলেজের সামনে তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। ‘গাজায় গণহত্যা থামাও’, ‘ইসরায়েলকে সহযোগিতা বন্ধ করো’-এমন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা দেখা যায় শিক্ষার্থীদের হাতে। বিক্ষোভকারীদের কারও কারও মাথায় ছিল ঐতিহ্যবাহী কেফায়া (ফিলিস্তিনিরা সাদা-কালো যে স্কার্ফ পরেন)।
অক্সফোর্ড অ্যাকশন ফর ফিলিস্তিন ও কেমব্রিজ ফর ফিলিস্তিন এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারকে আর্থিক ও নৈতিক সমর্থন দেওয়া বন্ধ করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের জীবনের বিনিময়ে মুনাফা করতে পারে না অক্সব্রিজ (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইসরায়েলের অপরাধ আড়াল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি গড়ে উঠতে পারে না।
Array