• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • রোহিঙ্গা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩ 

     বার্তা কক্ষ 
    20th Apr 2024 3:28 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে মো. সুলতান (৫৫) নামে এক রোহিঙ্গা হত্যা মামলার ৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কাঠের হাতলসহ ধারালো দা জব্দ করা হয়। মূলত কৃষি জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

    এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে ক্যাম্পের ১১৬নং ক্লাস্টারের সামনের সবজি বাগান থেকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৭৮নং ক্লাস্টারের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে মো. সুলতানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলা দায়ের করলে হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮২নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মো. জলিল (৪৯), ৬৪নং ক্লাস্টারের বাসিন্দা মৃত আব্দুল আলীর ছেলে মোহাম্মদ হোছন (৫৬) ও মোহাম্মদ হোছনের ছেলে ওসমান গনি (২৪)।

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মো. সুলতান সবজি চাষের জন্য ১১৬নং ক্লাস্টারে আসেন। এরপর তার ছেলে নুরুল আমিন নাস্তা আনলে তিনি খেয়ে কাজ শুরু করেন। এরপর নুরুল তার বাবাকে রেখে ৭৮নং ক্লাস্টারে চলে যায়। পরে দুপুরে ভাত নিয়ে এসে তার বাবাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপর আশপাশের লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ১১৬নং ক্লাস্টারের ভেতর তার বাবার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশে খবর দিলে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

    আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সবজি ও মাছ চাষকে কেন্দ্র করে মো. জলিল, ওসমান গনি ও মোহাম্মদ হোছনের সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়। সেখান থেকেই বিরোধের সৃষ্টি হয়।

    জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় আসামি জলিল জানান, তিনি সুলতানকে ডেকে ১২নং কক্ষে নিয়ে যান। মোহাম্মদ হোছন সুলতানের পা ধরে রাখে আর তিনি মাথা ধরে রাখে। এরপর ওসমান গনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুলতানের গলাকাটে। সুলতান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওসমান গনি ও মোহাম্মদ হোছন তাকে টেনে হিঁচড়ে রুমের এক কোণে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ওসমান গনি তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে তলপেটের নিচে ডান ও বাম পাশে কুপিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা স্থান ত্যাগ করে।

    ভাসানচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাওসার আলম ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। জলিল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে বলে জানিয়েছে। আমরা আসামিদের আদালতে সোপর্দ করব। পাশাপাশি ওসমান গনি ও মোহাম্মদ হোছনের ৫ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করব। অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ