যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রোববার (২৪ মার্চ) দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান এক বিবৃতি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ক্ষুধা-দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও দুঃশাসন মুক্ত একটি দেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বস্তরের জনতা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে আজ দেশের মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি হিসাব করলে দেখা যায় বহু প্রত্যাশা এখনও পূরণ হয়নি।
শফিকুর রহমান বলেন, দেশের মানুষ আজ এমন এক সময় স্বাধীনতা দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, বাক-স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার বলতে কিছুই নেই। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। বিরোধী মতের লোকজনকে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যোর লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নিপতিত। বিনা ভোটে নির্বাচিত এই সরকারের জনগণের প্রতি উদাসীনতা ও দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ডের ফলে দেশ আজ এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান ডামি সরকারের আমলে দেশের ৮২ শতাংশ লোক একবেলা পেট ভরে খেতে পাচ্ছেন না। দেশের ২৬ শতাংশ পরিবার ঋণগ্রস্ত। পবিত্র রমজানে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা ঠিকমত ইফতার ও সেহরি করতে পারছে না। ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের নাগরিকগণ তীব্র পানি সংকটে ভুগছেন। সাধারণ মানুষের দুঃখ, দুর্দশা ও দুর্ভোগ লাঘবের ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বদ্ধতা আছে বলে প্রতীয়মান হয় না।
তিন আরও বলেন, সরকার দেশের জনগণকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে। জাতিকে এ শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার একমাত্র পথ হলো জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা। একদলীয় ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আমি সকল বিরোধী দল ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
Array