দীর্ঘদিন ধরে তুষারবিহীন ছিল ভারতের কাশ্মির। কিন্তু গত মঙ্গলবার থেকে ভারী তুষারপাত দেখা গিয়েছে কাশ্মিরের বারামুলায়। এমন বরফ পড়েছে যে মূল এলাকায় থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে প্রান্তিক এলাকায় থাকা গ্রামগুলো।
সাধারণত জানুয়ারি মাসে বরফের আস্তরণে ঢাকা পড়ে যাওয়ার কথা ছিল কাশ্মির উপত্যকার। কিন্তু এবার বেশ কিছু এলাকা একেবারে বরফহীন ছিল। এরপর হঠাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দেখা মিলল বরফের।
ভারতীয় গণমাধ্যম এপিবি আনন্দের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উপত্যকার উপরের দিকে রাফিয়াবাদ এলাকায় মঙ্গলবারের পরে দুই ফুট বরফের স্তর দেখা গিয়েছিল। ভারী তুষারপাতের ফলে একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিষেবায় সমস্যা হয়েছে। লাডু-লাডুরা, চাটুসা, খামুওয়াহ, ওয়ালরামান, ব্রামান-এর মতো একাধিক গ্রাম ভারী তুষারপাতের জন্য সমস্যায় পড়েছে।
সিকিমে হঠাৎ তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। এতে আটকা পড়েছেন বহু পর্যটক। তাদের উদ্ধারে সেনা নামানো হয়েছে। এরইমধ্যে ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করা হলেও এখনও অনেকে আটকা রয়েছেন।
জানা গেছে, পূর্ব সিকিমের নাথুলায় বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে হঠাৎ তুষারপাত শুরু হয়। সকাল থেকেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা চলছিল পাহাড় থেকে সমতলে। বৃষ্টির পূর্বাভাসও ছিল। পাহাড়ের উঁচু এলাকায় আবহাওয়া আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
বুধবার সন্ধ্যায় সেনার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, পূর্ব সিকিমের নাথুলা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় ৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করেছে তারা। অবিরাম তুষারপাতের ফলে কমে আসে দৃশ্যমানতা। তাতেই আটকা পড়েন পর্যটকেরা। দ্রুত উদ্ধার কাজে যোগ দিয়ে ৫০০ জন পর্যটককে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সেনা ছাউনিতে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের ছাউনিতেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ছাড়া তুষারপাত থেকে বাঁচতে পর্যটকদের হাতে প্রয়োজনীয় সামগ্রীও তুলে দেওয়া হয়। তাদের খাবার, গরম কাপড়, ওষুধও সরবরাহ করা হয় সেনার পক্ষ থেকে।
সূত্র : আনন্দবাজার
Array