শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় কীর্তিনাশা নদীতে সরকারি বালুমহাল না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে নদীর ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালালেও অবৈধ এ কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। এ অবস্থায় নদী তীরের আবাদি জমিগুলো ভাঙনের কবলে পড়ছে। জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়া কৃষকরা পড়েছেন বেকায়দায়।
সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়ন কীর্তিনাশা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় জামাল মৃধা’র নেতৃত্বে উত্তোলিত এ বালু সরাসরি পাইপের মাধ্যমে ইউনিয়নের বিভিন্ন পুকুরে মাটি ভরাট কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ব্যক্তি ও ড্রেজার মালিকদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
বালু উত্তোলন কাজে জড়িত শ্রমিকরাও তাদের বিষয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ কাজে জড়িত একাধিক শ্রমিক বলেন, বৈধ-অবৈধ কিছু জানি না। ড্রেজার মালিকরা আমাদের এখানে এনেছে। তারা যা বলে আমরা তাই করি। আপনাকে তথ্য দিয়ে আমরা তাদের গালমন্দ শুনতে পারব না।
রামভদ্রপুর এলাকার কৃষক ইয়াকু ঢালী, রুবেল মাদবর ও শাহজালাল বলেন, গত ছয়-সাত মাস থেকে নদীতে ড্রেজার বসিয়ে রাতে ও দিনে অবৈধভাবে গভীর গর্ত করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রভাবশালীরা এই বালু বিক্রি করে প্রচুর টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন। অথচ আমাদের নদী তীরের মালিকানার জমিগুলো ভেঙে নদীতে ধসে যাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন সবই জানে, কিন্তু বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে নদী তীরের সব জমি ভেঙে নদীতে চলে যাবে, আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।
এ কাজে জড়িত ড্রেজার মালিক জামাল মৃধা’ বলেন, আমি নদিতে বালু উত্তলন করি এটা সবাই জানে। আপনি যেটা ইচ্ছে লেখেন সমস্যা নাই। এখন কথা বলার সময় নাই পরে ফোন দেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমামুল হাফিজ নাদিম জানান, বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আবারও অভিযান চালানো হবে।
এবিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম এর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
Array