গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের আগে থেকেই তারা আখেরি মোনাজাতের দিকে আসতে থাকেন।
গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, কলেজ গেট, বিমানবন্দর, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, কামারপাড়া ও টঙ্গী রেলস্টেশন এলাকা হয়ে ঢাকা ও গাজীপুরের আশপাশের জেলার মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনস্রোত বাড়তে থাকে। এই অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় পায়ে হেঁটে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসছেন তারা।
রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। এরপর কিছু সময়, নসিহতমূলক কথা বলেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা।
আনুমানিক সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার মিডিয়া বিষয়ক সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান। তিনি জানান, আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মাওলানা জুবায়ের।
ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লি পারভেজ মিয়া জানান, ভালুকা স্ট্যান্ড থেকে একটি মিনিবাসে করে এলাকায় ২০ জনের মতো সাথী নিয়ে রাত আড়াইটার দিকে রওনা দেন তিনি। ঘন কুয়াশা, শীত উপেক্ষা আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তারা এসেছেন।
কাপাসিয়া থেকে মোনাজাতে অংশ নিতে রাত আড়াইটার দিকে ইজতেমা ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গভীর রাতে রওনা হই যাতে ফজরের নামাজ ময়দানে আদায় করতে পারি। ফজরের নামাজ আদায় করে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতেই মধ্যরাতে ময়দানের উদ্দেশ্যে রওনা।
ইজতেমার উদ্দেশ্যে আসা অপর এক মুসল্লি জানান, শেষ রাতে ময়মনসিংহের মাসকান্দা স্টেশন এলাকা থেকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে এসেছেন তিনি। আল্লাহকে রাজি খুশি করতে শীতের রাতে এ কষ্টটুকু করেও তিনি তৃপ্তি পাচ্ছেন।
এদিকে, ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে গাজীপুরের তিনটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশ। মোনাজাত শেষে আজ রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার পর সড়কগুলো খুলে দেওয়া হবে।
সড়ক তিনটি হলো- ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আবদুল্লাহপুর থেকে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস, টঙ্গী-ঘোড়াশাল আঞ্চলিক সড়কের মিরের বাজার থেকে টঙ্গীর স্টেশন রোড এবং রাজধানী ঢাকার কামারপাড়া মোড় থেকে টঙ্গীর মন্নুগেট সড়ক।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এসব সড়কে ইজতেমার মুসল্লি বহনকারী যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি চলতে পারবে না। তবে জরুরি প্রয়োজনের গাড়ি যেমন অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
Array