• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • এবার ২১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল ফ্রান্স 

     বার্তা কক্ষ 
    30th Jan 2024 11:39 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    সম্প্রতি ইউরোপের তিন দেশ থেকে ৫১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ২৬ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ফেরত যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রান্স থেকে ২১ জন, সাইপ্রাস থেকে ১৬ জন এবং গ্রিস থেকে ১৪ জন। ফ্রান্সের ২১ জনের মধ্যে কয়েকজনের ইউরোপের বৈধ কাগজপত্র ছিল। তারপরও তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরত যাওয়া বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্সের দূতাবাসের অসযোগিতার কারণে তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে। তারা ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা খরচ করে উন্নত জীবনের আশায় বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তারা প্রতিনিয়ত রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছিলেন।

    এ নিয়ে ফ্রান্সের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলেছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও অভিবাসন অভিজ্ঞরা বলছেন, ফ্রান্সে কাগজবিহীন বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর নজির খুব কম। সাধারণত বড় কোনো অপরাধ না করলে দেশে পাঠানো হয় না। আগে কোনো অনিয়মিত বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে প্যারিসের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিয়ে আউট পাস চাইত। তখন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তদন্তের কথা বলে সময় চাওয়া হতো। এসময়ের মধ্যে বিভিন্ন উপায়ে আইনজীবীর মাধ্যমে বাংলাদেশিকে ছাড়িয়ে আনা হতো। অথচ এখন ডিটেনশন সেন্টারে গিয়ে বাংলাদেশিদের লিস্ট করে আউট পাস দিয়ে দেশে ফেরত পাঠাতে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

    এ ব্যাপারে ফ্রান্স আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যথাসম্ভব দূতাবাসের উচিত ছিল প্রবাসীদের সহায়তা করা। যত বেশি প্রবাসী দেশে ফেরত যাবে, তত আমাদের রেমিট্যান্সে একটা প্রভাব পড়বে।

    কমিউনিটি নেতা সালেহ আহমদ চৌধুরী বলেন, দেশের চরম সংকটকালে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সরকারের পাশে থাকে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। বতর্মানে উল্লেখযোগ্য হারে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বৈধপথে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। বিভিন্ন দেশের দূতাবাস রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো নিয়ে সভা সেমিনার ও প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে।

    তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম ফেরত যাওয়া প্রবাসীদের পাশে দাঁড়ানোর। কিন্তু দুঃখজনক দূতাবাস থেকে দ্রুত আউট পাস ইস্যু করায় তাদের এই পরিণতি ভোগ করতে হলো।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কমিউনিটি নেতা বলেন, ফ্রান্সে আমার ৩০ বছর হলো। দূতাবাসের এমন আচরণ আগে কখনো দেখিনি। আজ ফ্রান্স বাঙালি কমিউনিটি দ্বিধাবিভক্ত। নানা কারণে কমিউনিটি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশার ব্যক্তিদের সঙ্গে দূতাবাসের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ