আশিকুর রহমান হৃদয়, শরীয়তপুর।।
ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে এক গৃহবধূ ও তার পরিবার বিপাকে পড়েছেন। প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে আসামি পক্ষের হুমকির মুখে গৃহবধূ ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের উকিল কান্দি গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রী শশুর বাড়িতে বসবাস করতেন। স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশী মৃত মান্নান মোল্যা’র ছেলে লোকমান মোল্যা (৩৮), ইসমাইল উকিলের ছেলে মো: ইয়াসিন উকিল (৩৫), ফখরুল উকিলের ছেলে মো: রোকন উকিল (৩৮), মহন খানের ছেলের কামাল খান (৩৬) ওই গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সর্বশেষ গত ১৪ জানুয়ারী ২০২৪ রাতে ওই গৃহবধু প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে বের হলে লোকমান মোল্যা কৌশলে তার মুখ চেপে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এতে ভূক্তভোগী গৃহবধুর আত্মচিৎকারে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে লোকমান মোল্যাসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পরেরদিন ভূক্তভোগী ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ডামুড্যা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
মামলার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও আসামীদের গ্রেপ্তার না করার সুযোগে গত ২৫ জানুয়ারী রাতে লোকমান মোল্যার নেতৃত্বে বাদির বাবার বাড়িতে গিয়ে মো: ইয়াসিন উকিল, মো:রোকন উইকি, মো: কামাল খান সহ ৭/৮ জন মামলার বাদীকে হুমকি ধামকি দেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলেও লোকমান মোল্যা ও তার লোকজন বাদীর পরিবারকে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ হুমকি দিয়ে চলে যায়। মামলার বাদী তার ছেলেকে নিয়ে বর্তমানে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদীর বাবা-মা।
মামলার বাদী ভূক্তভোগী ওই গৃহবধু বলেন, আমি মামলা করে বিপদে আছি। আজ ১২ দিন ধরে মামলা করেছি। পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারে নি। মামলা করার পর আসামিরা নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে আমাকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফলে পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গেলে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নি। তাদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারত হোসেন বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। বর্তমানে অভিযুক্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন। এছাড়া বাদিকে হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Array