বিপিএলের প্রথম পর্ব ছিল ঢাকায়। সেখানটায় পুরোপুরি আধিপত্য ছিল দেশীয় ক্রিকেটারদের। ভেন্যু বদলে বিপিএল এখন সিলেটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিদেশিদের দাপট। দিনের প্রথম ম্যাচে আলো ছিল কার্টিস ক্যাম্ফার আর আভিস্কা ফার্নান্দোর ওপর। আর দ্বিতীয় ম্যাচেও আলো কেড়েছেন বিদেশিরাই।
প্রথমে বাবর আজম, পরে আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রংপুরকে আসরের দ্বিতীয় জয় এনে দিয়েছেন দুই বিদেশি। সঙ্গে অবদান ছিল দেশি স্পিনার শেখ মেহেদি হাসানের। ঢাকা এদিন খুব একটা লড়াই করতে পারেনি। একাকী লড়েছেন শুধু একজন। তিনিও বিদেশি অ্যালেক্স রস। রংপুরের ১৮৪ রানের টার্গেটে ঢাকা অলআউট ১০৪ রানে। ৭৯ রানের জয় সাকিব-বাবরদের।
সিলেট পর্বে রান আসতে শুরু করেছে। পাকিস্তানি বাবর আজমের সঙ্গে আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই, এই দুজনে ভর করে রংপুরের স্কোর ছিল ১৮৩। জবাবে ঢাকার দরকার ছিল উড়ন্ত সূচনা। তবে সেটা তাদের হয়নি। রানের খাতা খোলার আগেই ওমরজাইয়ের দারুণ ইনসুইংয়ে এলবিডব্লিউ হন লংকান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা।
এরপর সাইম আইয়ুব এসে ছয় হাকিয়ে শুরু করেন নিজের ইনিংস। কিন্তু তিনি নিজেও টেকেননি। ওমরজাইয়ের দ্বিতীয় শিকার তিনি। ৩১ রানে দুই উইকেটের পর চাপে ঢাকা। ক্রুসপুল্লে আর নাইম শেখ সেই চাপ আরও বাড়িয়েছেন। ০ রানে আউট ক্রুসপুল্লে। আর উড়িয়ে খেলতে গিয়ে ৯ রানে ফিরেছেন ঢাকার আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম শেখ। ৩১ রানে ১ উইকেট হয়ে যায় ৩২ রানে ৪ উইকেট।
ঢাকার লড়াইটা এরপর চালিয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত আর অস্ট্রেলিয়ান অ্যালেক্স রস। তাদের ৪৯ রানের জুটি কিছুটা স্বপ্নই দেখিয়েছিল রাজধানীর ফ্র্যাঞ্চাইজকে। কিন্তু সেটাও থেমে যায় ৮১ রানে। পরপর দুই বলে মোসাদ্দেক আর ইরফান শুক্কুরকে সাজঘরে পাঠান হাসান মাহমুদ।
ঢাকার লড়াইয়ের রসদ ফুরিয়ে যায় ওখানেই। রস অবশ্য হাল ছাড়েননি। ৫০ করেছেন বটে। তবে সঙ্গী ছিলেন না কেউই। আলাউদ্দিন বাবু আউট হয়েছেন সাকিবের বলে। পরের ওভারে আউট হয়েছেন রস এবং শরিফুল ইসলাম। দুজনেই মেহেদির শিকার। তাসকিন আহমেদ ইনজুরির কারণে মাঠে না নামলে নিশ্চিত হয় ঢাকার বড় পরাজয়।
Array