বাকৃবি প্রতিনিধি:মাঠ ফসলের টেকসই উৎপাদনের জন্য ফসলের পুষ্টি চাহিদা পরিমাপক পদ্ধতি ও এন্ড্রোয়েড মোবাইল অ্যাপ তৈরি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আর জাহাঙ্গীর ও তার গবেষকদল।
রবিবার (২১জানুয়ারি ) সকাল ১০টায় কৃষি অনুষদের সম্মেলন কক্ষে ‘ডেভেলপমেন্ট অফ এ ফিল্ড-স্কেলড নিউট্রিয়েন্ট ব্যালান্স ক্যালকুলেটর ফর ক্রপস অফ এন ইন্টেনসিভলি ম্যানেজড এগ্রিকালচারাল সিস্টেম’ শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন তাঁরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ গোলাম রাব্বানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহ্ফুজা বেগম, উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মোঃ আবু হাদী নূর আলী খান, কৃষি অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড এম জাহিরউদ্দীন (অব.)।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি ও ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (বিএএস-ইউএসডিএ) এনডাউমেন্ট প্রোগ্রাম প্রজেক্টের অর্থায়নে ৩ বছর গবেষণা করে এই অ্যাপ তৈরী করা হয়েছে বলে জানান প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর।
তিনি বলেন, ফসলের পুষ্টি চাহিদা পরিমাপের জন্য একটি নতুন পদ্ধতি। একটি এলাকার মাটি, জলবায়ু, বৃষ্টিপাতসহ বিভিন্ন তথ্য যখন অ্যাপটিতে যুক্ত করা হবে অ্যাপটি জানিয়ে দিবে ওই জমিতে কোন ফসলে জন্য কতটুকু সার লাগবে। এতে অতিরিক্ত সারের ব্যবহার এবং অপচয় দুইই হ্রাস পাবে।
অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আরো বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি অ্যাপ তৈরি যা কৃষককে সার সুপারিশ করবে, মাটির উর্বরতা রক্ষা করবে, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে এবং বায়ু দূষণও কমাবে। এই তিনটি বিষয়ে ভারসাম্য রক্ষা করার জন্যই অ্যাপটির উদ্ভাবন। বর্তমানে অ্যাপটি বিজ্ঞানীদের মধ্যে ব্যবহারের পর্যায়ে আছে। তবে আমাদের আসল টার্গেট কৃষকেরা। আগামী বছর মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের জন্য অ্যাপটি ব্যবহার বান্ধব করা হবে।
Array