• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • রবিশস্য চাষে নতুনমাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী 

     বার্তা কক্ষ 
    16th Jan 2024 10:40 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    কৃষি সমৃদ্ধ জেলা মেহেরপুরে রবিশস্যের চাষাবাদে নতুন মাত্রা যোগ করেছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এ জেলায় প্রায় সব ধরণের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। মাটির গুনাগুণ, অবহাওয়া ও জলবায়ু সূর্যমুখী চাষাবাদের জন্য উপযোগী হওয়ায় এটির চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় ও আগ্রহী করে তুলতে জেলার একমাত্র তৈলবীজ খামার সদরের আমঝুপিতে এর চাষ করা হয়েছে। অনেকেই আসছেন বিশাল আকৃতির হলুদ বর্ণের সূর্যমুখীর খেতে ছবি তুলতে, আবার অনেকেই আসছেন আবাদের জন্য পরামর্শ নিতে।

    অনেকে বাড়ির আঙ্গিনায় ও অফিসের সামনে সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য সূর্যমুখী ফুল চাষ করে থাকেন। কিন্তু সূর্যমুখী একটি তেল জাতীয় ফসল। এটি স্থানীয়ভাবে উচ্চ মূল্যের ফসল হিসেবেও পরিচিত। ভোজ্য তেলের মধ্যে সূর্যমুখী শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো তেল। এটি শরীরের কোলস্টোরেল ঠিক রাখে। তাই সূর্যমুখীর চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি তৈলবীজ খামারে বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে এবার ২২ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলায় আরও ২৭ বিঘা জমিতে এর চাষ করা হয়। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারহ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরাও। অনেকেই আসছেন ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে। পাশাপাশি এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন অনেক কৃষক।

    গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিডি দাস জানান, সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা। কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা, কার্যমতা বাড়ায়। রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশী পুষ্টি সমৃদ্ধ। শরীরের হাড় সুস্থ ও মজবুত করে। সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানসিক চাপ দূর করে। এককথায় সূর্যমুখী তেলে মানব দেহের মহাওষুধ হিসাবে ভূমিকা পালন করছে।

    সরেজমিনে আমঝুপি বিএডিসি’র সূর্যমুখী ফুলের খামারে গিয়ে দেখা গেছে, দু’চোখ যতদূর যায় শুধু ফুলের সমারোহ। এ যেন হলুদ আর সবুজের মিলন মেলা। সূর্যোদয়ের সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সূর্যের দিকে মুখ করে থাকে এই ফুলটি। দিন দিন বিনোদনের স্থানগুলো সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে বিনোদন থেকে কিন্তু নতুন করে প্রকৃতির মাঝে এমন সৌন্দর্য্য পরিবার-পরিজন নিয়ে দেখতে এসে খুশি দর্শনার্থীরা। ঘুরে ঘুরে দেখছে সূর্যমূখী ফুলের সমারাহ। এমন সৌন্দর্যে ছবি ও ঘুরতে পেরে বেশ খুশি তারা। তবে দর্শনার্থীদের পদচারণায় সূূর্যমূখী বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

    সেলফি তুলতে আসা কুঞ্জনগর গ্রামের কেয়া আকাশ জানান, লোকমুখে শুনেছি এখানে সূর্যমুখী ফুলের খেত আছে ও সুন্দর দৃশ্য তাই লোভ সামলাতে না পেরে এখানে ছবি তুলতে এসেছি। বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে সেলফি তোলা ছাড়াও ঘোরাঘুরি করা হচ্ছে। বেশ ভালোই লাগছে।

    দেখতে আসা আগ্রহী কৃষক হোটেল বাজারের সঞ্জু জানান, দৃষ্টি নন্দন এই ফুল প্রকৃতিকে করেছে মনোমুগ্ধকর। অনেকেই ক্যামেরা বন্দী হচ্ছেন সুর্যমূখীর সঙ্গে।

    মেহেরপুর বিএডিসির সহকারী-পরিচালক আবু তাহের বলেন, অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষে খরচ কম। এতে সার ওষুধ কম লাগে। তেমন পরিচর্যাও করতে হয় না। তাছাড়া অন্যান্য তৈল বীজ যেমন সরিষার, তিলের চেয়ে তেলও বেশী পাওয়া যায়। পুষ্টি চাহিদা পূরুণে সুর্যমূখী তেলের জন্য বিদেশ থেকে এর বীজ আমদানী করতে হয়। দেশে এর আবাদ করা গেলে বিদেশ থেকে এর আমদানী কমে যাবে। এটি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দু’বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ