বাকৃবি প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু না থাকলে যেমন দেশ স্বাধীন হতো না তেমনি কৃষিবিদরাও প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পেতো না। দেশে প্রথম কৃষিশিক্ষার সূত্রপাত হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। স্বাধীনতার পর দেশে ৭ কোটি মানুষের জন্য পযার্প্ত খাদ্য উৎপাদন হতো না। বর্তমানে ১৮ কোটি মানুষ থাকা সত্ত্বেও বাকৃবি গ্রাজুয়েটদের কৃতিত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক।
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৪০ হাজারের বেশি কৃষিবিদ তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তারা কৃষি সহ বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রেখে যাচ্ছে। আবহওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সামনে কৃষি সেক্টরের জন্য কঠিন চ্যানলেঞ্জ রয়েছে। সেই প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট কৃষিবিদ হিসেবে তৈরি করতে হবে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে মোট ১১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে মোট ২৩ জন।
ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিন পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার, প্রভোস্ট পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ফৌজিয়া সুলতানা, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ মো. অলিউল্লাহ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম এবং বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
Array