উত্তর কোরিয়া সম্ভাব্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দেশটির পূর্ব উপকূলে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এতে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া রোববার তার পূর্ব উপকূলে একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। অন্যদিকে জাপানি কোস্টগার্ডের মতে, ক্ষেপণাস্ত্র বলে বিশ্বাস করা একটি প্রজেক্টাইল ইতোমধ্যেই অবতরণ করেছে। নিক্ষেপ করা প্রজেক্টাইলটি একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা।
রয়টার্স বলছে, গত বছরের নভেম্বরে পিয়ংইয়ং তার প্রথম সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এর পর ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতার বিরুদ্ধে নিজেদের পারমাণবিক শক্তির যুদ্ধ প্রস্তুতি পরিমাপ করতে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে তারা।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে তার দেশের প্রতি ‘সবচেয়ে শত্রুতাপূর্ণ’ রাষ্ট্র হিসাবে সংজ্ঞায়িত করার সময় এসেছে।
দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) সেসময় আরও জানায়, আত্মরক্ষা এবং পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধের জন্য দেশের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পাশাপাশি সংঘর্ষের আবহ সৃষ্টি ও অস্ত্র তৈরিতে উসকানি দেওয়ার জন্য সিউলকে অভিযুক্ত করেছেন কিম।
এছাড়া কিম দুই কোরিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান খারাপ সম্পর্ককে ‘পরিবর্তনের নতুন পর্যায়’ এবং ‘অনিবার্য বাস্তবতা’ বলেও অভিহিত করেছেন।
এর আগে গত মাসে দলীয় বৈঠকে কিম বলেছিলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন অসম্ভব। সেসময় তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে তার সরকার ‘নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন’ আনবে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কারণে সশস্ত্র সংঘাত বাস্তবে পরিণত হচ্ছে বলেও সেসময় মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
Array