নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমানের পক্ষ থেকে ভোটারদের কাছে ভোটার স্লিপের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে দুই প্যাকেট বিস্কুট আর দুই প্যাকেট চানাচুর। প্রভাবিত করে ভোট টানার চেষ্টা থেকে এমন হাস্যকর কাণ্ড ঘটানোর অভিযোগ সাধারণ ভোটারদের।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোটারদের প্রভাবিত করার কোনো রকম সুযোগ নেই। অথচ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এমন ঘটনাই ঘটলো ফরিদপুর-১ আসনের আলফাডাঙ্গা উপজেলায়। এমন ঘটনায় ভোটারদের মধ্যে চাঞ্চল্যের তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার রাতে নৌকার প্রার্থী আব্দুর রহমানের কর্মীরা আলফাডাঙ্গার টগরবন্দ ইউনিয়নের চরডাঙ্গা এলাকার প্রতিজন ভোটারকে ভোটার স্লিপের সঙ্গে ৫ টাকা দামের দুই প্যাকেট বিস্কুট ও একই দামের দুই প্যাকেট চানাচুর বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভোটার গণমাধ্যমের কাছে আব্দুর রহমানের পক্ষে তাকে দেওয়া বিস্কুট-চানাচুরের ছবি দিয়ে বলেছেন, একজন প্রার্থীর পক্ষে এমন কাণ্ড প্রকৃতপক্ষে ভোটারদের অসম্মান করার সামিল। এতে বেশিরভাগ ভোটারই অসন্তুষ্ট। এভাবে ভোট পাওয়ার চিন্তাও হাস্যকর।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার সময় ফুরিয়েছে। শনিবার দিন গেলেই রবিবার ভোটগ্রহণ হবে। এখন প্রার্থীদের পক্ষে বাড়ি বাড়ি ভোটার স্লিপ পাঠানো হচ্ছে। আর এই সুযোগে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ এলো ফরিদপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী রহমানের বিরুদ্ধে।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আগেও তিন দফা জরিমানা গুণতে হয়েছে প্রার্থী আব্দুর রহমানকে। সবশেষ নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন বৃহস্পতিবার আলফাডাঙ্গা চৌরাস্তায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফরিদপুর-১ আসনে তাকে জরিমানা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)।
এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় নৌকার প্রার্থীর প্রতিনিধিকে। নির্বাচনি ক্যাম্পে বা প্রতীকে আলোকসজ্জা করায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খায়রুজ্জামান এ জরিমানা করেন। আর এর আগে আব্দুর রহমানের আরেক প্রতিনিধি হিরু মুন্সীকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
Array