জোবায়ের হোসেন, ফেনী প্রতিনিধি: ২০১৪ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীর মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রগুলো অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং আজকে থেকে আরএকটি পক্ষ নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য।
অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাওয়া সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনার মো.
আনিছুর রহমান বলেছেন, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে থানা-পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও অন্যান্য বাহিনী নিরাপত্তারকাজে মাঠে থাকবে।
এই নির্বাচনের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি রয়েছে। কাজেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন কঠোরতার চরম পর্যায়ে যাবে। আগামী জাতীয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমরা ভালো বললে হবে না। এই নির্বাচন ভালো না হলো আমাদের ভবিষ্যত্ব ভালো হবে না।
২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়জয়কার নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের বেলায় নির্বাচন হয়েছিল আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন কেমন নির্বাচন হতে যাচ্ছে সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি বলেন, বিগত দিনে আমি ইসির দায়িত্বে ছিলাম না তাই এসব বিষয় সমন্ধে আমি জানি না।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার সরবারাহ করা হবে। ভোট গ্রহণের সুষ্ঠু পরিবেশ আমরা নিশ্চয়তা করবো তবে ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে আনায়নের দায়িত্ব বিভিন্ন দলের মনোনীত প্রার্থী ও তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের। আগামী নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বীতার বদলে প্রতি আসনে ভাগাভাগির নির্বাচন হতে যাচ্ছে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে ইসি বলেন, আসন ভাগাভাগি এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। ভাগাভাগির নির্বাচন হলে এতো প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো না।
আজকেও আমরা ফেনী জেলার ২১ জন প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। গতকাল বুধবার সকালে ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন ২০২৪ উপলক্ষ্যে ফেনী জেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও মতবাদ বিনিময় সভা শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ছাদ বাগানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ইসি মো. আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।
অবৈধভাবে প্রার্থীদের হস্তক্ষেপের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমাদের কাছে আসলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
উক্ত মতবিনিময় সভায় ফেনী জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ফেনী জেলাা পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলাউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী নাসিম, তৃণমূল বিএনপি মনোনীত প্রার্থী প্রভাষক শাহাজাহান শাজু, ফেনী-২ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নিজাম উদ্দিন হাজারী, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী খোন্দকার নজরুল ইসলাম, ফেনী-৩ আসনের আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সাংসদ হাজী রহিম উল্লাহসহ ফেনী জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সভায়।
Array