স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় ১ মাস ধরে ফাঁকা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদ। মহাপরিচালক পদে সম্ভাব্য বেশ কয়েজনের নামের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এখানেও সক্রিয় বিমল-শিশির চক্র। শিক্ষামন্ত্রণালয়ে সদ্য যোগদান করা অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী-কে মহাপরিচালক করতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নানা ভাবে তদবির করছে চক্রটি। তদবিরে নিয়োজিতদের আর্থিক সহায়তা করছেন এক ঠিকাদান। সম্প্রতি দূর্নীতি দমন কমিশনে এমন একটি অভিযোগ জমা পড়েছে।

বহুদিন ধরে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সমালোচিত বিমল-শিশির চক্র। এই চক্র আরও সক্রিয় হতে অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী-কে ডিজি বানাতে নানা ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে। কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ কে কৌশলে ম্যানেজ করে বিমল-শিশির চক্র এই চেষ্টা করছে বলে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি উইংয়ের অতিরিক্ত সচিবকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) হওয়ার কথা থাকলেও মন্ত্রণালয়ের গোপন সূত্র নিশ্চিত করেছে এবারে এই প্রথা অনুসরন না করে বিশেষ সিন্ডিকেটের প্রভাবে প্রথা ভেঙ্গে অজয় কুমার – কে মহাপরিচালক করার গোপন প্রক্রিয়া চলছে।

প্রায়ই কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক (এমপিও) বিমল কুমার মিশ্রের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে। তার বিরুদ্ধে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। উল্টো হয়রানীর শিকার হয়েছেন অভিযোগকারীরা। টাকা নিয়ে কাজ না করে উল্টো হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। বিমল কুমার মিশ্র ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে আছেন। গড়ে তোলেন সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। শুধু তাই নয় এই সিন্ডিকেট দিয়ে টেন্ডারবাজি দালালি সবই কাজ করান এই প্রভাবশালী কর্মকর্তা বিমল কুমার মিশ্র। ঘুষ দুর্নীতি অনিয়ম অভিযোগ একাধিকবার তদন্ত হলেও সুফল পান নি অভিযোগকারীরা। দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বিমল কুমার মিশ্র ফাইল নিষ্পত্তি না করে ফাইলের তথ্য প্রচার করে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

শিক্ষা উপমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী অমিত কুমার এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সংযুক্ত কর্মকর্তা শিশির ধর, এমপিও কর্মকর্তা বিমল মিশ্রসহ গুটিকয়েকজনের হাতে জিম্মি কারিগরি শিক্ষা। বদলী,পদোন্নতি,এমপিও বানিজ্য এমনকি অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও জিম্মি করে রাখে এই সিন্ডিকেট। প্রায় গত ৩-৫বছর ধরে অদৃশ্য ক্ষমতায় টিকে থাকা এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারার কারনে ডুবতে বসছে কারিগরি শিক্ষা।