জুবায়ের আদনান,স্টাফ রিপোর্টার:
উমেদার আব্দুস সোবহান। রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সের সবচেয়ে প্রভাবশালীদের একজন তিনি। অফিসের সবাই জানেন ‘সোবহান সাহেব’ ধনাঢ্য লোক। মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে বাড়ি করে স্থায়ী হয়েছেন বহু আগে। তার একাধিক ব্যক্তিগত গাড়ির খবরও পুরোনো। অনেকেই বলেন, ‘সাবরেজিস্ট্রার আসে-যায়। কিন্তু মোহাম্মদপুর অফিস চলে সোবহানের ইশারায়।’ কারণ দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি একই জায়গায় কর্মরত। মোহাম্মদপুর অফিস থেকে তাকে বদলির কথা কেউ চিন্তাও করে না। বরং তার ভয়ে তটস্থ থাকেন সাবরেজিস্ট্রারদের অনেকে।
তার শ্যালক রাজিব এবং ভাগ্নে আয়নালসহ বেশ কয়েকজন মিলে গড়ে তুলেছেন এক বিশাল সিন্ডিকেট। মূলত সোবহান যে অনিয়মগুলো করেন তার অধিকাংশ কন্ট্রাক্ট রেজিস্ট্রি কমপ্লেক্সে ঘুরে ঘুরে তার শ্যালক রাজিব ও ভাগ্নে আয়নাল ভাগিয়ে নিয়ে আসেন । দৈনিক ৬০ টাকা বেতনে চাকরি করা সোবহানের রাজধানীতে একাধিক গাড়ি – বাড়ি ও ফ্লাটের সন্ধান পাওয়া গেছে। একজনের জমি অন্য জনের নামে লিখে দিয়ে আসল দলিলের নথি ছিড়ে ফেলার মত কন্ট্রাক্ট নেন উমেদার সোবহান।
আজকালের বার্তার অনুসন্ধানে উমেদার সোবহানের দূর্নীতির টাকায় গড়া বেশ কয়েকটি প্লট, ফ্লাট ও বাড়ির সন্ধান মিলছে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঢাকা হাউজিং-এ ৩ কাঠা জমির উপরে ৬তলা বাড়ি,বায়তুল আমান হাউজিং-এ তিনটি ফ্লাট, বসিলা সিটিতে ১৫কাঠার প্লট,কাটাসূর বেড়িবাধ এলাকায় ৫কাঠা জমির উপর টিনশেড বাড়ি, রামচন্দ্রপুর মৌজায় ২০ কাঠার প্লট এবং ২০১৭ সালে কাটাসুর মৌজায় ১৮ কাঠার প্লট ও আদাবরে ৫ কাঠার প্লট কিনেছেন উমেদার সোবহান।
এছাড়াও তার নিজ জেলা শরিয়তপুরে বিপুল পরিমান আবাদি জমি কিনেছেন উমেদার সোবহান। তার রয়েছে একাধিক মাইক্রোবাস,মিনিবাস ও প্রাইভেটকার। দূর্নীতি দমন কমিশনে একবার অভিযোগ উঠলেও অধৈ টাকার প্রভাব খাটিয়ে দুদকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে পার পেয়ে যান উমেদার সোবহান।
এবিষয়ে দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) মোছাঃ আছিয়া খাতুন আজকালের বার্তাকে বলেন, আমরা সকল দূর্নীতিবাজদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। আমি ৩মাস হলো এখানে জয়েন করেছি। সোবহানের বিষয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পেলে আমরা তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।
এবিষয়ে উমেদার সোবহানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Array