ভেদরগঞ্জ, শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক গৃহবধূ অসুস্থ পঙ্গু স্বামী-সন্তান রেখে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড দুলারচর ছাদিম আলী হাওলাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়টি জানাজানির পর এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৫ বছর আগে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের ছাদিম আলী সরদার কান্দি এলাকার ব্যবসাই
মো: বাশারুল বেপারী সাথে একই এলাকার ফরিদা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই ছেলে ও দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। প্রতিবেশী হওয়ার সুবাদে বাশারুলের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন একই এলাকার জেলে জাহাঙ্গীর বেপারী । একপর্যায়ে বাশারুল বেপারীর স্ত্রী ফরিদা বেগমের সাথে জাহাঙ্গীরের পরকীয়া প্রেম তৈরি হয়। ফরিদার স্বামী বিষয়টি জেনে গেলে এলাকার মুরব্বিদের অবহিত করে বিচার সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটির মীমাংসা হয়।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যেকোনো সময় বাশারুলের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য এলাকায় বিভিন্ন প্রচার চালান জাহাঙ্গীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাশারুল বাড়িতে না থাকায় টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ ফরিদাকে নিয়ে পালিয়ে যান জাহাঙ্গীর। এছাড়াও পালিয়ে যাওয়া জাহাঙ্গীর বেপারীর আগের ঘরে স্ত্রী-সন্তান রয়েছে।
এবিষয়ে বাশারুল বেপারী বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে আমাদের সংসার ভালোই চলছিলো। কিন্তুু জাহাঙ্গীর আমার বাসায় আসার পর থেকে আমার স্ত্রীর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে যায়। আমার একটি পা নেই আমি পঙ্গু হওয়ার কারণে আমার স্ত্রী। সবসময় বাজারে যাতায়াত করতো। সেই সুযোগে জাহাঙ্গীর আমার স্ত্রীকে ভুলভাল বুঝিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকারসহ নিয়ে চলে গেছে।
আমার ছোটো সন্তানটি মায়ের জন্য সবসময় কান্নাকাটি করে। একদিকে আমি অসুস্থ অন্য দিকে ওর মা চলে গেছে। আমি কি করে এই সন্তানের কান্না থামাবো। আমি চাই ওর মা সন্তানের কথা চিন্তা করে ফিরে আসুক।
এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান হাওলাদার কালবেলাকে বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Array