• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • নিজেদের সুরক্ষা আইনেও কেন ‘সুরক্ষাহীন’ চিকিৎসকরা? 

     বার্তা কক্ষ 
    07th Sep 2023 11:53 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    নানা কারণে প্রায়ই নিজ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে হামলার শিকার হন চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। এ সময় চেম্বারসহ হাসপাতালের বিভিন্ন অবকাঠামো ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। অধিকাংশ সময় ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে এমন কাণ্ড ঘটান রোগী ও তাদের স্বজনরা। এ অবস্থায় চিকিৎসকদের বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনসহ চিকিৎসকনেতারা যুগোপযোগী সুরক্ষা আইনের দাবি জানিয়েছেন।

    সম্প্রতি চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি আমলে নিয়ে ‘স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন’ নামক একটি সুরক্ষা আইনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এ আইনের খসড়াও তৈরি করেছে সরকার।

    চিকিৎসকনেতারা বলছেন, প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনের খসড়ায় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বার্থ ও সেবাগ্রহীতা কিংবা প্রদানকারী কারোরই সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। তারা প্রস্তাবিত খসড়াটি বাতিল করে আরেকটি ‘যুগোপযোগী আইন’ প্রণয়নেরও দাবি জানিয়েছেন তারা।

    যে আইনটি বানানো হয়েছে সেটি মূলত চিকিৎসক নির্যাতন আইন। যারা আইনটি বানিয়েছেন, তাদের মধ্যে সরাসরি চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত কোনো লোক নেই। সেখানে আছেন অ্যাডমিন ক্যাডার আর আমলাতন্ত্রের লোকজন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসকনেতা ডা. আব্দুন নূর তুষার।

    সুরক্ষা আইনের খসড়ায় চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্র ‘ভীতিকর’ করা হয়েছে

    বর্তমান সময়ে চিকিৎসকদের অধিকার ও দাবি নিয়ে নানা দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে চিকিৎসকদেরই পৃথক দুটি সংগঠন- বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ) ও ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সিবিলিটিস (এফডিএসআর)। তাদের দাবি, স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা আইনের খসড়ায় চিকিৎসকদের স্বাধীন ও সৎ চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রকে ভীতিকর করা হয়েছে। এতে কোনো চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না। ফলে জনগণ চিকিৎসাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রদানের মূল লক্ষ্য ব্যাহত হবে।

    প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনের খসড়ায় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বার্থ ও সেবাগ্রহীতা কিংবা প্রদানকারী কারোরই সুরক্ষা নিশ্চিত হয়নি। প্রস্তাবিত খসড়াটি বাতিল করে আরেকটি ‘যুগোপযোগী আইন’ প্রণয়নেরও দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা
    এফডিএসআর বিবৃতিতে বলেছে, জনগণের মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকার এবং একই সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও সহায়ককর্মীর কর্মপরিবেশ নিরাপদ ও মানসম্পন্নকরণের দীর্ঘ প্রত্যাশা পূরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিশ্চয়ই অভিনন্দনযোগ্য। তবে, একটি আইন তখনই আদর্শ হিসেবে গণ্য হয় যখন সেটি সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য প্রকৃত অর্থে কল্যাণকর হয়। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন ২০২৩ এর খসড়ায় তা যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়নি।

    বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীর অতি সামান্য অংশই রেজিস্টার্ড অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার আওতায় সেবাপ্রাপ্ত হন। অধিকাংশ মানুষ এখনও নিয়ন্ত্রণহীন, নিবন্ধনহীন হাতুড়ে চিকিৎসা, কবিরাজি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদ— এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে ঝাড়ফুঁক নির্ভর। অথচ জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা একটি সামগ্রিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় হওয়া ছিল একান্ত প্রত্যাশিত, যা আলোচিত খসড়ায় মোটেও বিবেচিত হয়নি।

    এ আইন মূলত চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ করার একটি চেষ্টা : ডা. আব্দুন নুর তুষার

    বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসকনেতা ডা. আব্দুন নূর তুষার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের একটি স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন থাকা দরকার। কিন্তু চিকিৎসা সুরক্ষার নামে যে আইনটি করা হচ্ছে, সেটি মূলত চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ করার একটি চেষ্টা। আপনি যদি উল্টো চিকিৎসকদের নিয়ন্ত্রণ করতে চান, সেখানে তো সুরক্ষার কিছু থাকে না।

    ‘আমরা মনে করি, সুরক্ষা শুধু চিকিৎসকেরই নয়; রোগী, হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ সবারই প্রয়োজন। পাশাপাশি এক পক্ষকে আরেক পক্ষ থেকে নিরাপদ রাখারও প্রয়োজন আছে। আমি বলব, যে আইনটি বানানো হয়েছে সেটি মূলত চিকিৎসক নির্যাতন আইন। যারা আইনটি বানিয়েছেন, তাদের মধ্যে সরাসরি চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত কোনো লোক নেই। সেখানে আছেন অ্যাডমিন ক্যাডার আর আমলাতন্ত্রের লোকজন। তারা নিজেরা টেবিলে বসে নিজেদের মনের মতো করে আইনটি তৈরি করেছেন।’

    চিকিৎসকদের দাবি, হঠাৎ করে রোগীর লোকজন ধুমধাম ডাক্তারের ওপর মারমুখি হলেন বা হাসপাতাল-ক্লিনিক ভাঙচুর করলেন, তাদের বিচার কী হবে বা করণীয় কী হবে— কোনোকিছুই স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা আইনে উল্লেখ করা হয়নি।

    সুনির্দিষ্ট কোনো ধারা নিয়ে আপনাদের আপত্তি আছে কি না— জানতে চাইলে এ চিকিৎসকনেতা বলেন, এ আইনের প্রতিটি ধারাতে সমস্যা রয়েছে। চিকিৎসক, রোগী ও ক্লিনিক-হাসপাতাল, সবকিছু এ আইনে গুলিয়ে ফেলা হয়েছে। আমরা মনে করি, রোগী ও চিকিৎসক নিয়ে যেমন একটি আইন থাকা উচিত, ক্লিনিক-হাসপাতালের জন্যও আলাদা একটি আইন প্রয়োজন। কারণ, ক্লিনিক-হাসপাতালের সঙ্গে ডাক্তার বা রোগীর কোনো সম্পর্ক নেই। ক্লিনিক-হাসপাতালে যারা ইনভেস্ট করেন, তারা মালিক। তারা ব্যবসা করছেন। এ ব্যবসার স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেনেন্সের জন্য যদি জবাবদিহিতা করতে হয়, তাহলে তো মালিকেরই করার কথা। কিন্তু আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে দেখছি, চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে রোগীদের বসার জায়গা না থাকলে চিকিৎসককে জরিমানা করা হবে। এটি কেমন ধরনের আইন, আমরা বুঝতে পারছি না। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি সেখানে চাকরি করি, চেয়ার কেনার দায়িত্ব কি আমার? না কি আমি হাসপাতাল বানিয়েছি?

    বিডিএফ চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহেদ রফি পাভেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, পুরো আইনে সমস্যা আছে। এসবের মধ্যে কিছু বিষয়ে এমন রয়েছে, যেগুলো চিকিৎসক সমাজ কখনওই মেনে নেবে না। বিশেষ করে অযৌক্তিক কারণে কথায় কথায় চিকিৎসককে জরিমানা ও শাস্তি দেওয়া, চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগীর মৃত্যু হলে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা, চিকিৎসকদের চেম্বারে হুটহাট অভিযান— বিষয়গুলো নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে ব্যাপক আপত্তি রয়েছে।

    ‘ইমার্জেন্সি চিকিৎসা চলাকালীন যেকোনো রোগীর মৃত্যু হতেই পারে। এক্ষেত্রে যদি রোগীর পরিবার অভিযোগ করেন, সেটির সমাধান করবেন কে? এটি তো সরাসরি পুলিশ সমাধান করবেন না, সমাধান হওয়ার কথা বিএমডিসির মাধ্যমে। তারা হয়তো এর জন্য একটা এক্সপার্ট কমিটি করবে, তারা যাচাই-বাছাই করে চিকিৎসকের কোনো ভুল পাওয়া গেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে সুনির্দিষ্টভাবে স্পষ্ট করা হয়নি।’

    চিকিৎসকদের অ্যাক্টিভ সংগঠনগুলোকে আলোচনায় রাখা হয় না

    ডা. মো. শাহেদ রফি পাভেল বলেন, কোনো একটা কারণ দেখিয়ে সরাসরি আপনি পুলিশ নিয়ে এসে একজন ডাক্তারকে ধরে নিয়ে যাবেন, এটা তো যৌক্তিক হতে পারে না। বিশ্বের কোনো দেশেই এমনটা হয় না। চিকিৎসকদের নির্দিষ্ট কাউন্সিলের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো সুরাহা হয়। যদি ক্রিমিনাল নেগলিজেন্স হয়, তাহলে অবশ্যই শাস্তির বিধান থাকবে। সে আইনে তার যে সাজা হওয়া দরকার, সেটি হবে। প্রাথমিকভাবে তার ভুলটা নিরূপণ করার জন্য তো আপনাকে একটা এক্সপার্ট বডি দিতে হবে। তা না হলে তো বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে না।

    ইমার্জেন্সি চিকিৎসা চলাকালীন যেকোনো রোগীর মৃত্যু হতেই পারে। এক্ষেত্রে যদি রোগীর পরিবার অভিযোগ করেন, সেটির সমাধান করবেন কে?
    বিডিএফ চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহেদ রফি
    তিনি আরও বলেন, রোগীদের যেহেতু সবসময় চিকিৎসকদের নিয়ে নানা কমপ্লেইন থাকে, কমপ্লেইনগুলো পার্টিকুলারলি তিনি কোথায় দেবেন, সেগুলো কে যাচাই-বাছাই করবে— বিষয়গুলোর তো সুনির্দিষ্ট সুরাহা লাগবে। এমনকি হঠাৎ করে রোগীর লোকজন ধুমধাম ডাক্তারের ওপর মারমুখি হলেন বা হাসপাতাল-ক্লিনিক ভাঙচুর করলেন, তাদের বিচার কী হবে বা করণীয় কী হবে— কোনোকিছুই স্বাস্থ্যসেবা সুরক্ষা আইনে উল্লেখ করা হয়নি।

    ‘উভয় সংকটে’ বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন

    প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইন নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন চিকিৎসকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। আইনের কিছু ধারার সমালোচনা করলেও আইন পাসে কোনো আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।

    ঢাকা পোস্টের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আইনের যে সকল ধারা নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল, সময় সময় কথা বলে আমরা সেগুলো উপস্থাপন করেছি। বিষয়গুলো নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে, ক্যাবিনেট ডিভিশনেও মিটিং হয়েছে। এরপর সেখান থেকে কিছু কিছু অবজারভেশন দিয়ে আবার ফেরত পাঠিয়েছিল। সেগুলো আমরা সংশোধন করে দিয়েছি। তারপরও কেন আইনটি পাস হচ্ছে না, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।

    বেশকিছু চিকিৎসক সংগঠন আইনের খসড়া সংশোধনের দাবি জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, ওই সংগঠনগুলো চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্ব করে না। চিকিৎসকদের প্রতিনিধিত্বশীল একমাত্র সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। আমরা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়কে যে আইনের খসড়াটি দিয়েছি, সেটিতে অবশ্যই চিকিৎসকদের সুরক্ষা রক্ষিত হয়েছে। আমরা চাই আইনটি

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    September 2023
    M T W T F S S
     123
    45678910
    11121314151617
    18192021222324
    252627282930