নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও ডজনখানেক মামলার আসামি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন দীর্ঘ এক বছর কারাগারে থাকার পরে ছাড়া পেয়ে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। চাঁদাবাজি, জমি দখল, টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মের হোতা এই মিলন।
সম্প্রতি ঝালকাঠি শহরের বাসিন্দা মো: নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির বাড়িসহ সাড়ে তিন শতাংশ জমি জোরপূর্বক সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে দখল করেছেন মিলন।
ভূক্তভোগী মো: নাসির উদ্দিন জানান, ঝালকাঠি ১৩০ মৌজায়, হোল্ডিং নং-৫৪/১, কাঁশারীপট্টি রোড, ঝালকাঠিতে একটি বাড়ীসহ জমি ক্রয়সূত্রে তিনি মালিক এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছেন। ব্যবসার সুবাদে ঢাকায় থাকার কারণে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যবসা মন্দা যাওয়ায় তিনি ঝালকাঠির বাড়ীতে বসবাসের ইচ্ছা পোষণ করে ভাড়াটিয়াকে বাসাটি খালি করতে বলেন। গত ২৫ আগস্ট বাড়ি গিয়ে দেখেন সৈয়দ মিলন কতিপয় সন্ত্রাসী নিয়ে বাড়িটি দখল করে আছে। হঠাৎ করে তারা দাবি করছে তাদের ১ শতাংশ জমি নাকি তার জমির ভেতর আছে। কিন্তু দলিল পর্যালোচনা করে দেখা যায় তার জমির মধ্যে অন্য কারো কোন জমি বিদ্যমান নেই। মিলনকে এ কথা বললে তারা নাসির ও তার পরিবারকে বিভিন্ন রকমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। নিরুপায় হয়ে নাসির ঝালকাঠির বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও থানা পুলিশের শরণাপন্ন হলেও কোন সহযোগীতা পাননি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২০ সালে ঝালকাঠিতে যুবলীগ নেতাকে মারধর, হাতুড়িপেটা ও চাঁদা দাবির মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলনসহ যুব ও ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তখন তার শয়ন কক্ষ থেকে ১২টি ধারালো দেশীয় রামদা, চারটি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও সৈয়দ মিলনের বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির মামলা ও অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
জমি দখলের বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির বলেন, আমার কাছে ভুক্তভোগী আসলে তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযুক্ত মিলন বর্তমানে দলীয় কোনো পদে নেই।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, কার জমি কে দখল করছে এটা নিয়ে তারা কোর্টে যাক। জমির বিষয়ে পুলিশের কিছু করার নেই।
ঝালকাঠি পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামাল শরীফ বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। তাকে আইনি সহযোগীতা নেওয়ার জন্য কোর্টে অথবা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
সার্বিক বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ হাদিসুর রহসান মিলন বলেন, আমি অন্য কারো জমি দখল করিনি। নাসিরের জমি আছে, তবে সেটা অন্য দাগে।
এবিষয়ে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে।বিস্তারিত থাকছে আগামী পর্বে।
Array