আবু সৈয়দ, বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ক্যাফেটেরিয়া আঠারো দিন বন্ধ থাকার পর নতুন রুপে সেজেছে ক্যাফেটেরিয়া।খাবারের নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ করার সাথে সাথেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে ছাড়িয়ে এই মূল্য তালিকা।কিন্তু এই নতুন তালিকা দেখে হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ।
গত ২৭ জুলাই হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। নোটিশে বলা হয় সংস্কারের কাজে জন্য ৭ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। কিন্তু পরবর্তীতে ৮ আগস্ট আবার নোটিশ দেওয়া হয় ক্যাফেরেটিয়া সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হাওয়ায়, আগামী ১৩ আগস্ট সাধারণ সেবা কার্যক্রম চালু করবে। এই বন্ধ থাকার কারণে খাবারের অসুবিধা ভুক্ত হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
বৃহস্পতিবার (১০ আগষ্ট) রাত ১০ টায় ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশ করে ক্যাফেটেরিয়া কর্তৃপক্ষ। খাবারের মূল্যের তালিকায় খাবারের দাম আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফেসবুক গ্রুপ ও বিভিন্ন পেইজের পোস্টে কমেন্টের মাধ্যমে তাদের মনের ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
শিক্ষার্থী রাশেদ উদ্দীন লিখেন ” অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ২০ টাকায় গরুর মাংস পাওয়া যায় আর এখানে ডিমের দামও ২০ টাকা।”
মো: হামিদুল ইসলাম লিখেন,খিচুরী ২৫ টাকা আর আর পরাটা ১০ টা ক্যাফেটেরিয়ায় খাওয়া হয়ত আমাদের জন্য না।
নাহিদুর রহমান ফেসবুক পোস্টে লিখেন” খাবারের দাম দেখেতো মনে হয় 7 star Restaurant.. এটা কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এর ক্যাফেটেরিয়ার মেনু হতে পারেনা।”
এম এ আল আমিন লিখেন,গরিবের ক্যাম্পাসে ধনীদের খাবার সহ্য হবে না পেটে,,,,দাম কমানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কষন করছি।
সুমাইয়া খান অনামিকা বলেন, খাবারের তালিকা যেমন সমৃদ্ধ, দামও হতে হবে শিক্ষার্থী বান্ধব৷ দেখবেন দামের জন্য, খাবারগুলো যেনো সুজজ্জিত গ্লাসের অন্তরালে ছবি হয়ে না থাকে। আশারাখছি, সবার সাধ্যের ভেতর সেরা সার্ভিস পাবে স্টুডেন্টরা
হাসান মাহমুদ বিপুল পোষ্ট দিয়েছেন, দুর্মূল্যের বাজারেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ্ হল এর ভেতরে যে ক্যান্টিন সেখানে এখনও পরোটা মাত্র চার টাকা! রেজাউল ইসলাম রিফাত মন্তব্য করেছে, জুনিয়র এর ভয়ে সিনিয়র সমাজ আর কখনো ক্যাফেটেরিয়ায় যাবে না এখন আর চা খা বলার দিন শেষ।
শাহরিয়ার আতিক বলেন, আফসোস লাগে! দাম/মান কোনো টাতেই আমাদের ক্যাফেটেরিয়ার কোনো বিশেষত্ব নেই। কাউকে বলতে পারিনা, আমাদের ক্যাফে তে এত টাকায় এমন স্বাদের এই খাবার টা পাওয়া যায়। দাম তো গেলোই এবার মান দেখা বাকি।
ফরিদুল ইসলাম ফরহাদ মন্তব্য করেন, দাম দেখে মনে হচ্ছে ফাইভ স্টার হোটেল, এরকম ক্যাফেটেরিয়া থাকা আর না থাকা একই কথা৷ শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাফেটেরিয়া চাই।
তাসকিয়া তাবাসসুম ফেসবুক পোস্টে বলেন, আগেই ভালো ছিলো। সব কিছুর দাম এত বেশি ক্যান দাম দেখে মনে হচ্ছে ক্যাফেটেরিয়ায় খাচ্ছি না, বাইরে পশ একটা হোটেলে খাচ্ছি।
মেনু কার্ড দেখে মনে চাইতাছে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে নাচানাচি করি। এটা ক্যাফেটেরিয়া কখনো হইতে পারে নাহ। মনে হচ্ছে খাইতে গেলেও ৬৫+ টাকা এটা অবশ্যই মেনু কার্ড দেখে কাপল রেষ্টুরেন্ট এখানে নাস্তা করতে গেলে মিনিমাম ৪০ টাকা লাগবে আর সবথেকে গরিবের মতো ভাত লাগবে ? তাইলে লাভ কি হইলো ভাই?? লাভ একটাই,পায়ে হেটে খাইতে আসতে হবে নাহ পার্কের মোরে।ক্যাফেটেরিয়ার নতুন মূল্য তালিকা প্রকাশের পর ফেসবুক গ্রুপে ক্ষোভ প্রকাশ করে এমন মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিম মুন্না। খাবারের মূল্য তালিকা প্রকাশ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপে দেখা যাচ্ছে এরকম অসংখ্য কমেন্ট।
Array