ইউক্রেনের বন্দরনগরী ওডেসায় টানা দ্বিতীয় দিন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া রাজধানী কিয়েভেও হামলার ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সেভাস্তোপোল শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে এক সতর্ক বার্তায় জানান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবহার করে রুশ বাহিনীর হামলা প্রহিহত করা হচ্ছে। এ সময় সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানায়, কৃষ্ণ সাগর থেকে রুশ বাহিনীর ছোড়া কালিবার ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে তারা। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি বিমানবাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে প্রকাশ করা ভিডিতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার বিমান হামলার পর ওডেসার একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ভবনের কয়েকটি জানালা ভেঙে গেছে এবং সেগুলো কাঁচ নিচে মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।
অপরদিকে কিয়েভের সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, বুধবার সকালে রাজধানীতেও রুশ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে তাদের এ হামলা প্রতিহত করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কিয়েভের একটি জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ ও ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন তিনি।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন সেরহি পোপকোর বরাতে পরবর্তীতে ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলায় ব্যবহৃত রুশ বাহিনীর সব ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।
গত সোমবার ক্রিমিয়া ব্রিজে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। এরপর রাশিয়া হুমকি দেয়, তারা এটির কঠিন জবাব দেবে। হুমকির পরই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় বন্দর নগরী ওডেসাতে পরপর দুইদিন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই বন্দর দিয়ে গত এক বছর ধরে বিশ্ববাজারে যাচ্ছিল ইউক্রেনের শস্য।
ওডেসার সামরিক প্রশাসনের মুখপাত্র সেরহি ব্রাচুক দাবি করেছেন, শস্যচুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরই রাশিয়া ওডেসায় হামলা চালানো শুরু করেছে। যেন ইউক্রেন তাদের শস্য রপ্তানি করতে না পারে।
এছাড়া জাতিসংঘ, তুরস্কসহ যেসব দেশ শস্য রপ্তানি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে; তাদের ভয় দেখাতেও ওডেসায় রুশ বাহিনী টানা হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা
Array