ওসমানীনগর প্রতিনিধি: সিলেটে প্লল্ট বিক্রির নামে ওসমানীনগরে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বড় অংকের টাকা আত্মসাৎ করে উল্টো তার কাছে আরো ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে নগরীর পানসী রেষ্ঠুরেন্টর এর এক পরিচালক ও তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ওসমানীনগর উপজেলার নিজ বুরঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহাদাৎ আহমদ চৌধুরী বাদি হয়ে ২ সহোদরের নাম উল্লেখ করে সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ওসমানীনগর থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সিলেট নগরীর এয়ারপোর্ট থানা অনামিকা শাহী ঈদগাহ এলাকার রফিকুল ইসলাম চৌধুরী (৫৫) ও তার বড় ভাই কবির উদ্দিন চৌধুরী (৬০)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহাদাৎ আহমদ চৌধুরীর পিতা আব্দুল আজিজের সাথে পূর্বের পরিচয়ের সূত্র ধরে রফিকুল ইসলাম চৌধুরী সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে ভোক্তভোগীর পরিবারের।
রফিকুল ইসলামের বড় ভাই কবির উদ্দিন চৌধুরী পরিবার নিয়ে সৌদি আরব থাকার সুবাধে সৌদি আরবে তার পুত্র ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়ার খরছ ও কবির উদ্দিনের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির জন্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহাদাৎ আহমদ চৌধুরীর কাছে ২১ লক্ষ টাকা চান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। বিনিময়ে রফিকুল ইসলামের সিলেট শহরের আখিলিয়ায় থাকা একটি প্লট শাহাদাৎ আহমদ চৌধুরীর নামে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। বিষয়টি আলোচনার ভিত্তিতে সৌদি আরবের রিয়াদস্থ দ্যা সৌদি ব্রিটিশ ব্যাংক (এসএবিবি) কবির উদ্দিন চৌধুরীর একাউন্টে বিগত ২০০৭ সালের ২৯ নভেম্বর ৫ হাজার পাউন্ড ও একই বছর ৪ ডিসেম্ভর ৫ হাজার পাউন্ডসহ মোট ১৪,২৫০ পাউন্ড প্রেরণ করেন শাহাদাৎ আহমদ চৌধুরী।
পরবর্তী সময়ে প্লট রেজিষ্ট্রি না করে সময় কালক্ষেপন করতে থাকেন রফিকুল ইসলাম চৌধুরী। চলতি বছরের ৫ জুলাই রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বাসায় গিয়ে প্লট রেজিষ্ট্রির কখা বললে অপারগতা প্রকাশ করেন রফিকুল।
এসময় শাহাদাৎ চৌধুরী তাঁর প্রেরিত টাকা ফেরকত চাইলে রফিকূল উত্তেজিত হয়ে উত্তেজিত হয়ে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ধারালো রামদা দিয়ে শাহাদাতকে হত্যা চেষ্ঠা চালান রফিকূল। এক পর্যায়ে শাহাদাতের প্রান ভিক্ষার শর্তে আরও ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন রফিকূল। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় রফিকূলের বাসা থেকে বের হয়ে নিরাপদ স্থানে ফিরে আসতে সক্ষম হন ভোক্তভোগী শাহাদাত। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন শাহাদাৎ।
বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রন চন্দ দেব আদালতে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নগরীতে প্লল্ট রেজিষ্ট্রারী করে দেয়ার শর্তে বাদির কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া সহ চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়েরকৃত আবেদনটি আদালত আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্ট থানা ুপুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। আদালতের মাধ্যমে বাদির সুবিচার প্রতিষ্টিত হবে এমন আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।
Array