বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী, ভোক্তা এবং উৎপাদকের মধ্যে কে বেশি লাভবান হচ্ছেন তা জানার জন্য মৎস্যের মূল্য শৃঙ্খল জানতে হবে। জাতীয় নীতি নির্ধারণ করতে গবেষকদের মৎস্যের মূল্য শৃঙ্খল বিশ্লেষণ নিয়ে গবেষণা করতে হবে। মূল্য শৃঙ্খলের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেক্ষেত্রে মৎস্য উৎপাদনে যান্ত্রীকীকরণ জোরদার করতে হবে। ইতোমধ্যে সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট অর্থায়ন এবং প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত ব্র্যাক সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে মৎস্যের মূল্য শৃঙ্খল উন্নয়ন কৌশল’ শীর্ষক নীতি নির্ধারণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
এসময় তিনি আরও বলেন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ভারত এবং চীনে প্রতি হেক্টরে চিংড়ির উৎপাদনশীলতা প্রায় ১০ মেট্রিক টন। বাংলাদেশে প্রতি হেক্টরে উৎপাদনশীলতা মাত্র ৪৯৫ কেজি। প্রতি হেক্টরে চিংড়ির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে গবেষকদের আরও বিস্তর গবেষণা করতে হবে।
‘বাংলাদেশে মৎস্যের অন্তর্ভুক্তিমূলক মূল্য শৃঙ্খলের কৌশল: বাজারে প্রবেশ, ব্যবসা এবং ভোগের ধরণ বিশ্লেষণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পটির অর্থায়ন করেছেন ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে।
নীতি নির্ধারণী ওই কর্মশালায় ইউএসএআইডির এশিয়ান রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর ড. গোলাম হুসেইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মদন মোহন দে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অংশের প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান খান।
Array