জিতু আহমদ,ওসমানীনগর: পুড়ছে কয়লা, জ্বলছে লোহা। কয়েক দিন পর আসন্ন ঈদুল আজহা ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের ওসমানীনগরে শেষ মুহুর্তে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কামার শিল্পীরা।
দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্থতা। উপজেলার বিভিন্ন বাজারের কামার পল্লী এখন লোহা হাতুড়ির টুংটাং শব্দে মেতে উঠেছে। হাতুড়ির আঘাতে তৈরি হচ্ছে কোরবানীর আনুসাঙ্গিক হাতিয়ার দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ ধারালো সব যন্ত্রপাতি।
তাই যেন দম ফেলারও সময় নেই কামারদের। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে কুরবানীর সময়টা কামার শিল্পীদের কাজের চাপ অনেকটা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয় রোজগারও। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে কামার শিল্পীদের তৈরি হাতিয়ারের ভালো কদর।কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।
রবিবার উপজেলার কলারাই (১৯মাইল) দয়ামী,তাজপুর, গোয়ালাবাজারসহ বেশ কিছু বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র ২-৩ দিন বাকি আছে তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত কামার পল্লীগুলো ব্যস্থ সময় পাড় করছে।
চাপাতি কিনতে আসা ক্রেতা হুমায়ুন আহমদ বলেন, একটি চাপাতি ৫০০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এ ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪/৫ টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি। গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিস শাণ দিতে মানভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নিচ্ছে। আর নতুন জিনিসের তো দাম গেল বছরের চেয়ে অনেক বেশি।
কয়েকজন কামার জানান বলেন, সারাবছর যত পন্য বিক্রি হয় এই ঈদেই বিক্রি হয় তার চেয়ে বেশি। কারণ পশু জবাই করার জন্য ধারালো অস্ত্রের প্রয়োজন। আর পুরাতন এইসব অস্ত্র অনেকেই রাখেন না। সেই জন্য প্রতি বছর নতুন নতুন অস্ত্রের প্রয়োজন পরে। তারা আরো বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও লোহার দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুন। প্রতি বস্তুা কয়লা ১শ থেকে ১৫০ টাকা বেড়ে গেছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দাথর দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।
Array