সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলাকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইয়ের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ। এছাড়া দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের জন্য সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি করেছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (২৩ জুন) প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনের নেতারা এসব কথা বলেন।
ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদের সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন সিটি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা, বরিশালে হাতপাখার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাইয়ের ওপর যে হামলা হয়েছে সেটাকে আপনি কী বলবেন? মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য দেশের মানুষ কোনোভাবেই গ্রহণ করতে পারছে না।
তিনি বলেন, ১২ জুন হামলার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের সর্বস্তরের মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে। সিইসির উচিত ছিল তার এই বিতর্কিত বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করা। কিন্তু তিনি দুঃখ প্রকাশ করা তো দূরের কথা, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে হামলাকারীদের উৎসাহিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণের অর্থ ব্যয় করে নির্বাচন কমিশন যে সিসিটিভিতে মনিটরিংয়ের কথা বলছেন এগুলো জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য করা হচ্ছে। বরিশাল সিটি নির্বাচনে মুফতি ফয়জুল করীম সরাসরি রিটার্নিং অফিসারের অফিসে উপস্থিত হয়ে যে লিখিত অভিযোগ করেছেন সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে নির্বাচন কমিশন নীরব থেকে নির্বাচনের অনিয়মগুলোকে সমর্থন দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর কমিশনারদের অযোগ্যতা প্রমাণিত হয়েছে। অযোগ্য অথর্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর কমিশনারদের পদত্যাগ আজ জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অপর কমিশনাররা নিজেদের দেশপ্রেমিক দাবি করলে তাদের উচিত হবে দ্রুত পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাও. এ বি এম জাকারিয়া, মাওলানা কাজী মামুনুর রশীদ খান, এ বি এম রাকিবুল হাসান, মো. আবদুল কুদ্দুস, আবু শোয়াইব খান, মাওলানা শাহ জামাল উদ্দিন, মাওলানা ওমর ফারুক যশোরী, আবদুল আজিজ ও বি এম মাহফুজ হাসান প্রমুখ।
Array