ঢাকার কেরানীগঞ্জে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন মো: সজল নামে এক ডিস ব্যবসায়ী। সজল কেরানীগঞ্জের বন্দ ডাক পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

লিখিত আবেদনে সজল জানান, তার বাবা বিগত ২০ বছর ধরে কেরানীগঞ্জের জিনজিরার কদমতলী, বন্দডাক পাড়া, মডেল টাউন ও শহীদ নগর এলাকায় ডিসের ব্যবসা করে আসছেন। গত ৭ বছর আগে সজলের বাবা মারা গেলে ব্যবসা পরিচালনার দায়িত্ব সজল বুঝে নেয়। ব্যবসা দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পরে স্থানীয় হাজী রাসেল, রমজান মেম্বার, মনির হোসেন রাজীব, নাসির , আতাউর ও বনি আমিন নামে প্রভাবশালী কিছু ব্যাক্তি সজলের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং তাদের সাথে রাজনীতি করতে বলে ও নিয়মিত মাসে চাঁদা দিতে বলে। উপায়ন্ত না দেখে সজল গত ৭ বছর ধরে নিয়মিতই চাদা দিয়ে আসছিলো।

বর্তমানে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি খারাপ হবার কারনে সজলের চাঁদা দিতে অসুবিধা হওয়ায় সজল কেরানীগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিবিদ ম ই মামুনের সরনাপন্ন হয়। ম ই মামুন তাকে আসস্ত করে বিপু ভাইয়ের এলাকায় চাদাবাজি সম্পূর্ন নিষেধ, এখন থেকে কাউকে চাঁদা দিতে হবে না।এই আশ্বাসের ভিত্তিতে সজল গত ৩/৪ ধরে কাউকে চাদা দেয় না।

লিখিত আবেদনে সজল আরো জানায়, গত ৩/৪ ধরে চাঁদা বন্ধ রাখায় হাজী রাসেল, রমজান মেম্বার, মনির হোসেন রাজীব , আতাউর ও বনি আমিন বর্তমানে তাকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে, টাকা না দিলে তার ব্যবসা বন্ধ করে দিবে এবং মৃত্যুর ভয় দেখায়। এদের লোক জন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে সজলকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং মারা জন্য খোজাখুজি করছে।

এমতাবস্থায় সজল উক্ত লোকদের বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আইনি সহায়তার চায়।