• আজকের পত্রিকা
  • ই-পেপার
  • আর্কাইভ
  • কনভার্টার
  • অ্যাপস
  • ওসির ১৮ কোটি টাকার সম্পদ 

     বার্তা কক্ষ 
    15th Jun 2023 11:58 am  |  অনলাইন সংস্করণ
    ফেনী প্রতিনিধি; ফেনী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের ক্রাইম শাখার পুলিশ পরিদর্শক ও পিরোজপুর মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে সোয়া ১৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

    দুদকের অনুসন্ধানে তাদের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ এবং আসামি সৈয়দ আব্দুল্লাহর নিজ নামে ২টি প্লট, স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে রাজধানীতে ২টি ফ্ল্যাট, ১টি বাণিজ্যিক স্পেস, শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে ১টি ফ্ল্যাট খোঁজ পাওয়া গেছে।

    বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুদকের পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজ বাদী হয়ে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আর অনুসন্ধান কাজের তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন পিরোজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শেখ গোলাম মাওলা। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

    অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, আসামি সৈয়দ আব্দুল্লাহ ১৯৯১ সালে সাব-ইনস্পেক্টর পদে পুলিশে যোগ দেন। তিনি ২০০৭ সালে ইনস্পেক্টর পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন। ২০১৯ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার ও শাশুড়ি কারিমা খাতুন। সৈয়দ আব্দুল্লাহ মঠবাড়িয়া থানায় কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, মাদক ও চোরাকারবারিদের সাথে সখ্যতা, মিথ্যা মামলার রেকর্ড ও অনৈতিকভাবে বিপুল সম্পদের অর্জনের অভিযোগ ওঠে। আর অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য ২০২০ সালে কমিশন থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সৈয়দ আব্দুল্লাহ প্রতারণার উদ্দেশে তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে দুটি এনআইডি কার্ড তৈরি করে এর বিপরীতে পৃথক দুটি ট্যাক্স শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) গ্রহণ করেন। যা ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে  ১ কোটি ৭৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৫ টাকা, ১ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩১ লাখ টাকায় গাড়ী ক্রয়সহ মোট ৩ কোটি ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ ক্রয় করেন।

    এছাড়া সৈয়দ আব্দুল্লাহ নিজ নামে ২টি প্লট, স্ত্রীর নামে ২টি আবাসিক ফ্ল্যাট, ১টি বাণিজ্যিক স্পেস, স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ পরিশোধ করে শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে ১টি আবাসিক ফ্ল্যাট বাবদ মোট ১৫ কোটি ৭ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩২ টাকার অধিক মূল্যের স্থাবর সম্পদ ক্রয়ের তথ্য পাওয়া যায়। দুদকের অনুসন্ধানে এসব স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ১৮ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার ২৮৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে।

    আসামি সৈয়দ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী হিসাবে পুলিশে কর্মরত থাকা অবস্থায় পদমর্যাদার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজের নামে, তার স্ত্রীর নামে ও শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে সম্পদ গড়েছেন। প্রকৃত পক্ষে তিনি অর্থের উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন করার চেষ্টা করেছেন। যেখানে তার স্ত্রী ও শাশুড়ি সরাসরি সহযোগিতা করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

    অনুসন্ধানকালে চলতি বছরের ২৮ মে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের আদেশে সৈয়দ আব্দুল্লাহর অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট ১৮ কোটি ১৬ হাজার ৫৬৩ টাকা স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে সৈয়দ আব্দুল্লাহ ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নিজ নামের ট্যাক্স ফাইলগুলো জব্দ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলায় দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

    ওসি সৈয়দ আব্দুল্লাহ, তার স্ত্রী ও শাশুড়ির অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে;

    আব্দুল্লাহর শাশুড়ি কারিমা খাতুনের নামে গুলশানে নাভানা রিয়েল এস্টেটের নাভানা এসিলমন প্যালেস নামরে ১৩তলা ভবনের ১২তম তলায় ৩ হাজার ৯০৯ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। তার স্ত্রী ফারহানা আক্তারে নামে কাকরাইলে আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ১৪তলা বাণিজ্যিক ভবন গ্রিন সিটি রিজেন্সির তৃতীয় তলায় ২ হাজার ১২০ বর্গফুট বাণিজ্যিক স্পেস ও ২৬৬ বর্গফুটের গাড়ি পার্কিংসহ মোট ২ হাজার ৩৮৬ বর্গফুট, স্ত্রীর নামে ঢাকার বড় মগবাজারে এবিসি রিয়েল এস্টেটের দ্য ওয়েসিস কমপ্লেক্সের টাওয়ারে ১০ম তলায় ২ হাজার ১৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট ও গাড়ি পার্কিং, স্ত্রী ফারহানা আক্তারে খিঁলগাওয়ের পশ্চিম নন্দীপাড়া ২ হাজার বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট ও গ্যারেজ এবং সৈয়দ আব্দুল্লাহর নিজ নামে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আনন্দ পুলিশ হাউজিং সোসাইটির ৬ কাঠার দুটি প্লট।

    এছাড়া স্ত্রী ফারহানা আক্তারের নামে এক কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র, ফিনিক্স ফাইন্যান্স লিমিটেডে এক কোটি টাকার স্থায়ী আমানত, খুলনা অগ্রণী ব্যাংকের বয়রা বাজার শাখায় ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত। এছাড়াও ডাচ বাংলা ব্যাংকের বিজয়নগর শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিস শাখা ও বয়রা বাজার শাখা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোড শাখা, সোনালী ব্যাংকের ভিকারুন্নিসা নুন স্কুল শাখা এবং খুলনার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের বিভিন্ন আমানত হিসাবে ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৮৫৪ টাকার তথ্য রয়েছে।

    Array
    We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
    আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ